শিশুকে সকালের যে ৫ কাজ শেখানো জরুরি, বিস্তারিত জানুন

শিশুকে আপনি যা শেখাবেন, সে সেভাবেই শিখে বড় হবে। তাই ছোটবেলা থেকেই তার সুন্দর অভ্যাস গড়ার দিকে মা-বাবা কিংবা অভিভাবককে মনোযোগী হতে হবে। শিশুকে এমন কিছু অভ্যাস শেখান, যেগুলোর সুফল সে সারা জীবন পাবে। কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস ছোটবেলায় গড়ে তুললে শিশু বড় হওয়ার পরও সেগুলো মেনে চলতে পারবে এবং জীবন অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। তার জন্য সুস্থ থাকাও সহজ হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন কাজগুলো শিশুকে সকালে করতে হবে-

খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠা

রাতে আগেভাগে ঘুমিয়ে গিয়ে পরদিন খুব ভোরে ওঠা সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর উপায়। এটি শিশুকে শেখাতে হবে। কেবল শিশুকে শেখালেই হবে না, বরং আপনাকেও এই অভ্যাস গড়তে হবে। কারণ শিশুরা বড়দের দেখেই শেখে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রাতে ঘুমাতে চলে যাবেন এবং সকালে ঘুম থেকে দ্রুত উঠবেন। এভাবে নিয়মিত করলে শিশুর রুটিন ঠিক হয়ে যাবে। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের অন্যতম শর্ত এটি।

খালি পেটে হালকা গরম জল

হালকা গরম জল পান করার অনেকগুলো উপকারিতা রয়েছে। বিশেষ করে যদি তা সকালে খালি পেটে খাওয়া হয়। এই অভ্যাসের ফলে অন্ত্র সঠিকভাবে পরিষ্কার হয়, শরীরে সক্রিয়তা আসে। শিশুকে নিয়মিত সকাল বেলা খালি পেটে হালকা গরম জল পান করতে দিন। এতে তার শরীর ও মন সতেজ থাকবে অনেকটাই। পেট পরিষ্কার হওয়ার কারণে তার মুখে রুচি ভালো থাকবে এবং খাবার সঠিকভাবে হজম হবে।

যোগব্যায়াম

শিশুকে যোগব্যায়াম শেখান। সকালে ধর্মীয় প্রার্থনার পাশাপাশি যোগব্যায়ামের দিকে মনোযোগী করুন। শৈশবেই শিশুর মানুষ হওয়ার ভিত্তি গড়ে ওঠে। তাই তাকে সুস্থ ও ভালো মানুষ হওয়ার শিক্ষা আপনাকেই দিতে হবে। শিশু নিয়মিত এ ধরনের অভ্যাসে অভ্যস্ত হলে নিজেকে ভালোবাসতে শিখবে, জীবনের অর্থ খুঁজে পাবে। এগুলো শিশুকে শারীরিক ও মানসিকভাবে শক্তিশালী করে তুলবে।

স্বাস্থ্যকর খাবার

সকালের খাবারের দিকে বিশেষ মনোযোগী হওয়া জরুরি। কারণ সারারাত আমাদের পেট খালি থাকে। শিশুকে সকালে স্বাস্থ্যকর খাবার দিতে হবে। তার জন্য উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় সব খাবার খেতে দিন। যেন সে সারাদিন শক্তিশালী বোধ করে। সকালের খাবারে প্রতিদিন একই জিনিস দেবেন না। এতে তার বিরক্ত লাগতে পারে। বরং সাধারণ খাবারই একেকদিন একেকভাবে তৈরি করে খেতে দিন। ফল, শুকনো ফল, ডিম, শাক-সবজি, রুটি ইত্যাদি তাকে খেতে দিতে পারেন।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy