ফ্রিজ থেকে প্রচুর জল নির্গত হয়, কেনার সময় এই দিকগুলি দেখে নিয়েছেন তো?

ফ্রিজ কেনার পর অনেকেই নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হন। অনেক সময় ফ্রিজ কেনার এক-দুই বছরের মাথায় ফ্রিজে সমস্য়া দেখা দিতে শুরু করে। এসব সমস্যা এড়াতে ফ্রিজ কেনার সময় মনে রাখুন কয়েকটি সহজ টিপস-

পরিবারের সদস্য অনুযায়ী

পরিবারে কজন সদস্য আছেন, তা দেখে ফ্রিজ কিনুন। একজন সদস্য থাকলে একটি মিনি ফ্রিজ কিনতে পারেন। দুজন থাকলে সিঙ্গল/ডবল ডোর, তিনজন হলে ডবল ডোর, চারজন হলে ডবল ডোর/সাইড বাই সাইড, পাঁচজন বা তার বেশি হলে সাইড বাই সাইড ফ্রিজ কেনা ভালো।

ফ্রস্ট ফ্রি না ডাইরেক্ট কুলিং?

ডাইরেক্ট কুলিংয়ে বারবার ফ্রস্ট ক্লিয়ার করার ঝামেলা আছে। ফ্রিজে যাতে বরফ জমে না যায়, তার জন্য মাঝে মাঝে ফ্রিজ অফ রাখতে হয়। কিন্তু ফ্রস্ট ফ্রি হলে সেই ঝামেলা নেই। তবে তার দামও বেশি।

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী কি না?

ফ্রিজ আমাদের বাড়ির এমন একটি যন্ত্র যা সারাক্ষণ বিদ্যুতে চলে। তাই ফ্রিজ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী কি না সেটি প্রথমেই দেখে নিতে হবে। স্টার রেটিং যত বেশি হবে, তত বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী সেই ফ্রিজ। স্টার রেটিং কম হলে তা সেটি কম বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে।

ফ্রিজ কত লিটারের?

বেশি লিটারের ফ্রিজ দরকার হতেই পারে। কিন্তু সেটি রান্না ঘরে বেশি জায়গা নেবে। তাই কেনার সময় দেখে নিতে হবে, কতটা জায়গা নিচ্ছে ফ্রিজটি।

ইনভার্টার সিস্টেম

কম্প্রেসর বারবার চালাতে হলে বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়। কিন্তু ফ্রিজের ভিতর ইনভার্টার থাকলে কম্প্রেসরের তাপমাত্রা সেটিই নিয়ন্ত্রণ করে। বাইরের তাপমাত্রা বুঝে সেটি ভেতরের তাপমাত্রা বাড়ায় বা কমায়। ফলে ইনভার্টার বিল্ট ফ্রিজ নেওয়াই ভাল।

ডিজাইন ও শেলফ
ফ্রিজের ভেতরের ডিজাইন ও শেলফও দেখে নেওয়া দরকার। সবজি রাখার বাক্স, ডিম, দুধ রাখার জায়গা, খাবার রাখার জন্য কটি শেলফ ও মাছ, মাংস সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত স্থান আছে কি না দেখে নিন। পাশাপাশি বরফ তৈরির কী ব্যবস্থা আছে, সেটিও দেখতে হবে।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy