আপনার স্ত্রীকে যে কথাগুলো কখনোই বলবেন না, জেনেনিন অবশ্যই

দাম্পত্য জীবন শান্তিপূর্ণ রাখা কঠিন কিছু নয়। তবে এখানেও ছোট ছোট বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখতে হয়। আপনার কথা যেন আপনার সঙ্গীকে কোনোভাবেই আঘাত না করে সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। আপনারা একে অন্যের প্রতিযোগী নন। মজা করে অনেককিছুই বলা যায় তবে তা যেন কখনো সীমা লঙ্ঘন না করে। কথা বলার ক্ষেত্রে এই সতর্কতা আপনাদের সম্পর্ককে আরও বেশি স্বচ্ছ ও সুন্দর করে তুলবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক স্ত্রীকে কোন কথাগুলো কখনোই বলবেন না-

১. ‘আই ডোন্ট কেয়ার’

এই কথাটি আসলে দাম্পত্য জীবনে মানানসই নয়। কারণ পরস্পরকে কেয়ার করার কারণেই আপনারা স্বামী-স্ত্রী। আপনি যদি আপনার স্ত্রীর অনুভূতির সঙ্গে একমত না হন তবে তা স্বীকার করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি ভালোভাবেও জানানো যায়। তাকে বলতে পারেন যে তার জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ হলেও আপনি এর সঙ্গে একমত নন।

২. ‘সব দোষ তোমার’

আপনি যদি সব সময় তাকে দোষ দিতে থাকেন তাহলে একসময় সে ভুলটাকেই ঠিক ভাবতে শুরু করবে। দোষে-গুণেই মানুষ। আপনার নিজেরও নিশ্চয়ই অনেক দোষ রয়েছে। তাই অপরের দোষ ধরার আগে নিজের ভুলগুলো স্বীকার করুন এবং শুধরে নিন। কারণ দোষারোপ করলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। তার ভুল হলে সেটি ঠান্ডা মাথায় বুঝিয়ে বলুন।

৩. ‘আমি তোমাকে এটা করতে বলেছি’

স্ত্রীর সঙ্গে মালিক-চাকরের সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসুন। সে আপনার সঙ্গী, ভৃত্য নয়। তাই তাকে দিয়ে কোনো কাজ করাতে হলে সুন্দর করে অনুরোধ করুন। সুন্দর কথা দিয়ে অনেক কিছুই করানো সম্ভব। কঠোরভাবে বলবেন না বা ধমকের সুরে কথা বলবেন না। এতে সে আরও বেঁকে বসতে পারে। এর বদলে দুজনে মিলেই কাজটি করার চেষ্টা করুন বা নিজে না পারলে তাকেই সম্পন্ন করতে অনুরোধ করুন।

‌৪. ‘তুমি কত বোকা!’

ভুল সময়ে কঠোর শব্দ ঘৃণা হিবেবে প্রকাশ পেতে পারে। তাই সুযোগ পেলেই স্ত্রীর বুদ্ধির প্রশংসা করুন, ভুলেও তাকে বোকা বলতে যাবেন না। পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করা এবং সেই অনুযায়ী কাজ করা গুরুত্বপূর্ণ যাতে একটি সুস্থ সম্পর্ক নষ্ট না হয়। তাই বুদ্ধিমান হয়ে থাকলে এদিকে খেয়াল রাখবেন।

৫. প্রাক্তনের তুলনা

প্রাক্তনের সঙ্গে স্ত্রীর তুলনা করা ধ্বংসের একটি উন্মুক্ত আমন্ত্রণ। বিভিন্ন বিষয়ে মতের অমিল হলে তা নানা উপায়ে, গঠনমূলকভাবে বলা যেতে পারে। কিন্তু প্রাক্তনের সঙ্গে তুলনা করলে তা আপনার স্ত্রী কখনোই ভালোভাবে মেনে নেবে না। তাই শুধু প্রাক্তন নয়, বরং কারও সঙ্গেই তুলনা করবেন না। কারণ একজন মানুষ কখনো আরেকজন মানুষের মতো হতে পারে না।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy