গরম গরম ফ্যানা ভাতে এক টুকরো মাখন (butter), ব্রেড বাটার টোস্ট(bread butter toast) কিংবা বাড়িতে কেক বেক করার সময় কেকের(cake) অন্যন্য উপকরণের(ingredients) সঙ্গে মিশে মাখনের যে গন্ধ তৈরি হয় তার মুগ্ধতা কাটানো সহজ নয়। পাউরুটি, হাত রুটি কিংবা পরোটা, ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ কিংবা ডিনারে, অনেকেই নিত্য দিনের খাদ্যতালিকায় মাখন(butter) ছাড়া ভাবতেই পারেন না। অত্যন্ত সাধারণ খাবারও এক নিমেষে দারুণ সুস্বাদু করে তুলেত সত্যি জবাব নেই মাখনের।
কিন্তু, এটা জানেন কি রান্নাঘরের অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় উপকরণের মতো এ হেন মাখনও একেবারে ভেজাল মুক্ত নয়। অনেক ক্ষেত্রেই মাখনে স্টার্চ(starch) কিংবা মাড় ব্যবহার করা হয়। আর এই মাড় প্রত্যেক দিন আমাদের শরীরে গেলে একাধিক শারীরিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই মাখন খাওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে আপনার মাখনে মাড় না থাকে।
ভাবছেন মাখনে মাড় আছে কি না তা কীভাবে বুঝবেন?
এই নিয়ে সম্প্রতি টুইটারে(twitter) একটি পোস্ট শেয়ার করেছে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া(Food Safety & Standard Authority of India) (FSSAI)। এই পোস্টে ছোট্ট একটা পরীক্ষার মাধ্যমে দেখানো হয়েছে কীভাবে বাজার থেকে কিনে আনা মাখনে মাড় রয়েছে কিনা তা সহজেই জানা যাবে। এর জন্য-
- প্রথমে একটি কাঁচের বাটিতে অল্প জল কিংবা তেল নিন
- এবার এতে আধ চা চামচ মাখন দিন।
- এবার এই জলে দু থেকে তিন ফোঁটা আয়োডিন সলিউশন মেশান।
- যদি মাখনে ভেজাল থাকে তা হলে জলের রং পরিবর্তন হবে। আয়োডিন সলিউশন মেশানোর পরে জলের রং বদলে নীল হয়ে যাবে।
- আর যদি মাখনে মেশানো জলের রং অপরিবর্তিত থাকে তা হলে বুঝতে হবে মাখনে কোনও ভেজাল নেই।
এই আয়োডিন সলিউশন(iodine-solution) সহজেই বাজারে পাওয়া যায় এবং ওভার দ্য কাউন্টার(over the counter) কেনা যায়। বাজারে নানা নামে আলাদা আলাদা ব্রান্ড নামে বিক্রি হয় এই সলিউশন। এগুলোর একটি হল অতি পরিচিত বেটাডিন।