সঠিক সময়ে রোগের চিকিৎসা না হলে অকালমৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায় বহুগুণে। বিভিন্ন কারণে আমাদের জটিল ও কঠিন রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তবে প্রথম থেকে একটু সতর্কতা নিলেই রোগ জটিল হওয়ার ঝুঁকি কমে। তাই নিয়মিত স্বাস্থ্য-পরীক্ষা করানো অত্যন্ত জরুরি। যাতে আগে থেকে রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
কর্মব্যস্ততার কারণে আমরা প্রায়ই স্বাস্থ্যের অবহেলা করি। বয়স, লিঙ্গ বা পেশা নির্বিশেষে প্রত্যেকেরই নিয়মিত স্বাস্থ্য-পরীক্ষা এবং ক্যানসার স্ক্রিনিং করানো দরকার।
১. নিয়মিত স্বাস্থ্য-পরীক্ষা এবং স্ক্রিনিং করালে ক্যানসারের মতো নির্দিষ্ট কিছু রোগ প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা সম্ভব হয়। ফলে প্রাথমিক পর্যায় থেকেই চিকিৎসা শুরু করে দেওয়া যেতে পারে। পরিবারে কারও যদি ক্যানসার বা হার্টের সমস্যা থাকে, তা হলে নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য-পরীক্ষা এবং স্ক্রিনিং করানোর ক্ষেত্রে কোনও অবহেলা করবেন না।
২. প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্তকরণ শুধু বড় অস্ত্রোপচারের ঝুঁকি কমায় না, রেডিওথেরাপি বা কেমোথেরাপি এড়াতেও সাহায্য করে।
৩. কেবল ক্যানসারই নয়, হাইপারকোলেস্টেরোলেমিয়া, ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তাল্পতা, হৃদ্রোগের ঝুঁকি আছে কি না তা জানার জন্যও নিয়মিত পরীক্ষা করানো উচিত।
৪. মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যায়ে স্তন ক্যানসারের লক্ষণ শনাক্ত করতে নিয়মিত ম্যামোগ্রাম করার পরামর্শ দেন বিশেযজ্ঞরা। পুরুষদের সিরিয়াল পিএসএ (প্রস্টেট স্পেসিফিক অ্যান্টিজেন) পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে প্রোস্টেট স্ক্রিনিং করা দরকার। প্রয়োজনে ট্রান্সরেক্টাল আল্ট্রাসাউন্ড (টিআরএস) করানো যেতে পারে।
ক্যানসারের পরীক্ষা ছাড়া আর কী কী স্বাস্থ্য-পরীক্ষা করানো উচিত?
রক্তচাপ, রক্তে শর্করার পরিমাণ— এগুলি নিয়মিত প্রতি ছ’মাস অন্তর পরীক্ষা করাতে হবে। এ ছাড়া শরীরে কোলেস্টেরল, হিমোগ্লোবিন, থাইরয়েড, লিপিড প্রোফাইল, ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাও জানা দরকার। নিয়মিত চোখের পরীক্ষাও করাতে হবে।