দিনের বেশিরভাগ সময় ধরে হেডফোন ব্যবহার করছেন, ফলে কী কী ক্ষতি হতে পারে জানেন?

আধুনিক প্রযুক্তির এই যুগে মোবাইল ও কম্পিউটারের পাশাপাশি হেডফোনও আমাদের জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। অফিস হোক কিংবা বাড়ি, দিনের অনেকটা সময়েই আমাদের কানে থাকে হেডফোন। রাস্তার কোলাহল, ট্রেন-বাসের হর্ন-এর আওয়াজ এড়াতে হেডফোনকেই আমরা কাছে টেনে নিয়েছি। কিন্তু দীর্ঘ সময় এই ধরনের যন্ত্র কানে লাগিয়ে রাখার ফলে বড় বিপদ হতে পারে। হেডফোনের উচ্চ শব্দে কানের পর্দার স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। এমনকি আপনি কানে শোনার ক্ষমতাও হারাতে পারেন।

আসুন জেনে নিই, দীর্ঘ সময় হেডফোন ব্যবহারের ফলে কী কী ক্ষতি হতে পারে-

কানে ইনফেকশন

হেডফোন সরাসরি কানের ভেতরে প্লাগ করার কারণে কানে বায়ু চলাচল ঠিকমতো হয় না। আর বায়ু চলাচলে বাধা পড়ার কারণে কানের ভেতরের আর্দ্র পরিবেশে জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। যে কারণে কানে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ বা ইনফেকশন হতে পারে। হেডফোন বেশি ব্যবহার করলে কানে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায়, ফলে কানে ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। এ ছাড়া হেডফোন কারও সঙ্গে শেয়ার করাও উচিত নয়।কারণ আপনার কান থেকে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া হেডফোনের মাধ্যমে অন্য ব্যক্তির শরীরে পৌঁছাতে পারে।

কানে ব্যথা

দীর্ঘ সময় ধরে হেডফোন ব্যবহার করলে কান ও সংলগ্ন এলাকায় মারাত্মক যন্ত্রণা শুরু হতে পারে।হেডফোনের অতিরিক্ত শব্দ সরাসরি কানে যাওয়ার কারণে কর্ণকুহরে চাপ পড়ে, ফলে কানে ব্যথা হয়। এ ছাড়া হেডফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার বৃদ্ধি করতে পারে মাইগ্রেনের সমস্যাও।

মাথা ঘোরা

হেডফোনের অত্যধিক ব্যবহারের ফলে মাথা ঘোরা ও মাথা ব্যথার সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর উচ্চ শব্দের কারণে কর্ণকুহরে চাপ পড়ে মাথা ঘোরা শুরু হয়।

শ্রবণশক্তি হ্রাস

দিনের পর দিন উচ্চ আওয়াজে হেডফোন ব্যবহার করলে শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। একটানা উচ্চ শব্দে কানের কোষগুলোর স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। একই সঙ্গে স্নায়ুগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে কানে শোনার ক্ষমতা একেবারে চলে যেতে পারে।

মনঃসংযোগের অভাব

হেডফোনের শব্দ কানের পর্দায় খুব খারাপ প্রভাব ফেলে। এই শব্দ কান থেকে মস্তিষ্কে যায় এবং আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে, যার ফলে মনোযোগের অভাব হয়। হেডফোনের অত্যধিক ব্যবহারের কারণে ফোকাস এবং একাগ্রতার অভাব দেখা দেয়।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy