ঘাসজাতীয় একটি সুগন্ধী উদ্ভিদ লেমনগ্রাস। দক্ষিণ এশীয় রান্নার উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে বহুকাল আগে থেকেই। লেবুর গন্ধযুক্ত এই পাতা শুধু খাবারের ঘ্রাণ বাড়ায় তা নয়, স্বাদও অনেকখানি বাড়িয়ে দেয়।
অনেকেই হয়তো ছাদে বা বেলকনির টবে লাগিয়ে থাকেন লেমনগ্রাসের গাছ। তবে ঘাসজাতীয় লেমনগ্রাসের আছে নানা উপকারিতা, যা জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন।
লেমনগ্রাসের আছে অনেক ওষুধি গুণ। ঠান্ডা-কাশি থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ অনেক রোগের ঘরোয়া সমাধান এই লেমনগ্রাস।
যারা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্যও লেমনগ্রাস খুবই উপকারী।
জার্নাল অব রিনাল নিইট্রিশনে প্রকাশিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, এটি শরীরের বর্জ্য ফিল্টার করতে সাহায্য করে। রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক রাখে। আর শরীরে রক্তসঞ্চালন ঠিকভাবে হলে শরীরের বিভিন্ন রোগের সম্ভাবনা কমে যায়। তাই কিডনিও থাকে সচল এবং স্বাস্থ্যকর
শরীরে জল ধরে রাখতে সহায়তা করে লেমনগ্রাস। যা আপনার কিডনির কার্যক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। এতে আপনার প্রস্রাবের বেগ থাকবে স্বাভাবিক। শরীরের অতিরিক্ত সোডিয়ামও বের হয়ে যাবে।
এমনকি লেমনগ্রাস গ্রহণে কিডনির পাথর, ক্যান্সার, স্ট্রোকও প্রতিরোধ হবে। এ ছাড়াও কিডনির পাথর সারাতেও বেশ কার্যকরী লেমনগ্রাসের রস।
শরীরের বিপাকক্রিয়া ঠিক রাখে লেমনগ্রাস। যা আপনার শরীরকে সুস্থ রাখবে।
তবে লেমনগ্রাস খাওয়ার আগে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। কারণ অনেকের জন্য লেমনগ্রাস খাওয়া ক্ষতিকর হতে পারে। যাদের হার্টের সমস্যা আছে তাদের কম খাওয়াই ভালো।
এ ছাড়াও বেশি পরিমাণে লেমনগ্রাস খাওয়া ডায়রিয়ার কারণ হতে পারে। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম। তাই অতিরিক্ত লেমনগ্রাস কখনোই খাবেন না।
বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে রান্না করে কিংবা স্যুপ তৈরি করে খেতে পারেন লেমনগ্রাস। এ ছাড়াও কিডনির বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে লেমনগ্রাসের রস খেতে পারেন। লেমনগ্রাসের চা পান করতে পারেন।