ওষুধ খেয়ে পিরিয়ড বিলম্বিত করা, সাবধান হতে পারে বড়ো বিপদ! বিস্তারিত জানতে পড়ুন

পিরিয়ড নিয়মিত হওয়া ভালো। তবে এক্ষেত্রে যদি ব্যত্যয় ঘটে, তবে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে অনেক অবিবাহিত নারী রয়েছেন, যাদের মাসিক অনিয়মিত; তাদের মাতৃত্বের স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। এ নারীরা অনেক সময় ইচ্ছে করলেও গর্ভধারণ করতে পারেন না। তাদের বন্ধ্যত্বের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

আর সাময়িক সুবিধার কারণে অনেক নারী ওষুধ খেয়ে পিরিয়ড বিলম্বিত করতে চান। বেড়াতে যাওয়া বা জরুরি কাজের জন্য অনেকে সময় ঋতুস্রাবের কারণে অস্বস্তিতে পড়েন। এই অবস্থায় অনেকেই বেছে ওষুধ খেয়ে ঋতুস্রাবের সময় এগিয়ে আনেন কিংবা পিছিয়ে দেন।

আপনি জানেন কী? এ ধরনের ওষুধ নারীর প্রজনন তন্ত্রের ক্ষতি করে।তাই এসব কাজ ভুলেও করা যাবে না।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে জানানো হল এই ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে।

১.ওষুধ খেয়ে পিরিয়ড সময় এগিয়ে আনলে বা পেছালে ঋতুস্রাবের চক্রে বিশৃঙ্খলা হতে পারে। অনেকে ওষুধ সেবন করে স্বাভাবিক ঋতুস্রাবের চক্রে পরিবর্তন আনছেন। আর কিছু নারী আবার এই ওষুধগুলোকে জন্ম নিয়ন্ত্রক ওষুধ ভেবে সেবনের কারণে গর্ভবতীও হয়ে যান।

২.ঋতুস্রাব বিলম্ব করার জন্য ওষুধ খাওয়ার পর কয়েকমাস ঋতুস্রাবে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি রক্তপাত হতে পারে।

৩.ঋতুস্রাব বিলম্বিত করার ওষুধ ও জন্ম নিয়ন্ত্রক বড়ি দীর্ঘসময় ধরে খাওয়া উচত নয়। এর ফলে হতে পারে মারাত্মক রোগ। ‘ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস’ বা রক্ত জমাট বেঁধে ধমনি আটকে যাওয়া, ‘পালমোনারি এমবোলিজমসহ সবিভিন্ন রোগ হতে পারে।

৪. এসব ওষুধ শোষিত হয় যকৃতে। ফলে তা অন্যান্য ওষুধের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে। এছাড়া নিষ্ক্রিয়ও করে দিতে পারে।

৫. এসব ওষুধের বিভিন্ন পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াও রয়েছে। শারীরিক অসুস্থতা, ডায়রিয়া, যোনীপথে অপ্রত্যাশিত রক্তক্ষরণ, ব্যথা, পেশিতে টানসহ বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।bs

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy