তিতা শুধু মুখের স্বাদ বদলায় না, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। এছাড়া হজম প্রক্রিয়া বাড়িয়ে তুলতে এবং কিছু মৌসুমি রোগ রুখে দিতে তিতা শাকসবজির ভূমিকা অনেক। তাই সারাবিশ্ব জুড়ে শিশুদেরকে স্থানীয় তিতা স্বাদের শাকসবজি খাওয়াতে অভিভাবকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এসব নিয়ন্ত্রণে রাখতেও তিতার ভূমিকা অনেক। বছরের বিভিন্ন সময় খাবারে তিতা শাকসবজি রাখলে সারাবছরই ভেতর থেকে অনেকটা সুস্থ থাকা যায় বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
এবার জেনে নেওয়া যাক তিতা শকাসবজি সম্পর্কে-
করোল্লা :
সারাবছরই মেলে এই সবজিটি। কারোল্লার অ্যান্টিব্যাক্টিরিয়াল গুণ শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। করোল্লার রস প্রতিদিন সকালে খেলে ডায়াবেটিসেও বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।
মেথি :
মেথি শাক আর মেথির দানা ডায়াবেটিস সামাল দিতে ও শরীরে অম্লের ভাব কমাতে সাহায্য করে। চুলের পুষ্টি জোগাতেও মেথির ব্যবহার যথেষ্ট। তাই এই তিতাযুক্ত শাক রাখুন খাবারে।
সজনে ফুল :
বসন্তকালে এটি রাখুন খাবারে। বসন্ত রোগের হানা রুখতে যেমন কার্যকর, তেমনই ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন, সর্দি-জ্বর উপশমে সজনে ফুল উপকারী। এতে প্রচুর ক্যালশিয়াম ও পটাশিয়াম থাকায় সদ্য মা হয়েছেন এমন কারও খাবারে সজনে ফুল রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
নিমপাতা :
প্রাকৃতিকভাবেই নিমপাতা জীবাণুনাশক। ত্বকের নানা অসুখ দূর করতে ও জীবাণুনাশক হিসেবে এই পাতার ব্যবহার সর্বজনগ্রাহ্য। স্নায়বিক সমস্যা সারাতে ও ক্ষুদ্রান্তে ব্যাক্টিরিয়ার হানা ঠেকাতে নিমপাতা জুড়ি মেলা ভার। তাই নিমপাতা পেটে বড়ি বানিয়ে শুকিয়ে তারপর খেতে পারেন।bs