ভরপুর পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ সয়াবিন সব বয়সিদের জন্যই সমান উপকারী। একমাত্র যাদের কিডনির অসুখ আছে এবং যারা গাউটের সমস্যায় ভুগছেন, তারা ছাড়া প্রত্যেকেই সয়াবিন খেতে পারেন। মেনোপজের পর মাঝবয়সী অনেক মহিলার হাড় ক্ষয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এই সমস্যা কমাতে সয়াবিন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।
সয়াবিন খেলে যেসব সমস্যার প্রতিকার পাওয়া যায়—
রক্ত চলাচলের সাহায্য
সয়াবিনে আইসোফ্ল্যাভেন ও লেসিথিন নামে দুটি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। এগুলো লো ডেনসিটি কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্যে করে। এলডিএল অর্থাৎ লোডেনসিটি কোলেস্টেরল অত্যন্ত ক্ষতিকারক। ধমণির মধ্যে কোলেস্টেরলের পলি জমিয়ে রক্ত চলাচল কমিয়ে দেয় এই এলডিএল। সয়াবিনের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এই সমস্যার মোকাবিলায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।
অকালবার্ধক্য রোধ
সয়াবিনের আইসোফ্ল্যাভেন অত্যন্ত শক্তিশালী ফাইটো ইস্ট্রোজেন যৌগ থাকে। যা ত্বক ও চুল উজ্জ্বল ও ঝকঝকে রাখতে সাহায্য করে। সয়াবিনে থাকা লেসিথিন রক্তচাপ স্বাভাবিক রেখে হার্ট ও মস্তিষ্ককে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। এতে অকালবার্ধক্য থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং ওজন ও নিয়ন্ত্রনে থাকে।
অন্যান্য উপকার
সপ্তাহে দিন তিনেক ৫০ মিলিগ্রাম করে সয়াবিন খেলে এইচডিএল এবং এলডিএলের ভারসাম্য রক্ষা হয়। ফলে হৃদরোগের আশঙ্কা কমে। ব্রিটিশ জার্নাল অব নিউট্রিশনে প্রকাশিত এক রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, খাবার পরিপাকের সময় সয়া-প্রোটিন নামে এক যৌগ তৈরি হয়, যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্যে করে। সয়া-ফাইবার রক্তের ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা স্বাভাবিক রাখে।