সম্পর্ক বা বিয়ে তো সবাই করে কিন্তু সম্পর্কে টিকে থাকে বা কতজনের? তবে এটা শুধু একার দোষেই হয় না, দু’জনের কারণেই হয়ে থাকে। একটা সুখের সংসার গড়ে তুলতে চাইলে শুধু স্ত্রীর ভূমিকা থাকে না, বরং স্বামীর ভূমিকা বেশি থাকে। আর যদি স্বামী কোন ভূমিকাই পালন না করে তাহলে সম্পর্ক ভেঙে যেতে বাধ্য।
তাই স্ত্রী ও সংসারের প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও মনোযোগ দিতে হবে। এতে যেমন সম্পর্ক মধুর থাকবে তেমনি আপনিও যোগ্য স্বামী হয়ে উঠবেন।
পরিকল্পনা থাকতে হবে
বিয়ে হয়ে গেছে, ছেলেপুলে হয়ে গেছে, তাই বলে ফুরিয়ে গেছে দাম্পত্য? একদমই নয়। বরং এখনই সম্পর্কের পেছনে অধিক সময় দিতে হবে। স্ত্রী এমন কেউ নয় যে চিরকাল আপনার সাথে থাকতে বাধ্য। ভালোবাসা ও যত্ন না পেলে তার মনও অন্যদিকে চলে যেতেই পারে। তাই কেবল জীবন নিয়ে পরিকল্পনা না করে সম্পর্ক নিয়েই করুন। কীভাবে দুজনে ভালো সময় কাটাবেন, কোথায় বেড়াতে যাবেন, কী উপহার দেবেন, কী বলবেন ইত্যাদি নিয়ে ভাবাও জরুরী।
প্রতিদিন জানুন
সম্পর্কের একটা ভিত্তি থাকে। আর সেই ভিত্তি হচ্ছে ভালোবাসা। তাই প্রতিদিন সেই ভালোবাসার ভিত্তি স্পর্শ করুন। তাকে জানান যে ভালোবাসেন। তার সাথে কথা বলুন। তিনি কেমন আছেন জানতে চান। নিজের কোথাও তাকে জানান।
সংসারের দায়িত্বে আপনার ভূমিকা কী?
সংসার স্ত্রীর একার নয়, আপনারও। সমস্ত বড় সিদ্ধান্তগুলো দুজনে একসাথে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিন। যেসব ব্যাপারে আপনি একাই সিদ্ধান্ত নিতেন, সেগুলোতে স্ত্রীকে ডাকুন। যেসব কাজ স্ত্রী একাই করেন, সেগুলোতে আপনি সাহায্য করুন।
বুঝতে শিখুন বিশেষ ব্যাপারে
মানুষ কোন মেশিন নয় যে আজীবন একই রকম চলবে। মাঝে মাঝে সকল মানুষেরই একটু বিশ্রাম দরকার হয়, রোজকার জীবন থেকে একটু ব্রেকের প্রয়োজন হয়। এই ব্রেক আমাদেরকে সম্পর্ক পরিচালনা করতে উজ্জীবিত করে থাকে। তাই, নিজের যখন অবসর চাই বুঝতে শিখুন। সঙ্গী কখন অবসর চাইছে সেটাও বুঝে নিন আর সেই সময়ে তাকে একটু নিজের মত থাকতে দিন।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশে কেউ ছোট হয় না
তিনি আপনার জীবনে আছে বলেই জীবন সুন্দর, সংসার সুন্দর, আপনার জীবন চমৎকার ভাবে চলছে। বিষয়টি যদি এমন হয়ে থাকে তবে কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুলবেন না। ভালোবাসার মানুষকে যত ধন্যবাদ জানাবেন, সম্পর্ক তত সুন্দর হতে উঠবে।
কিছু নিয়ম জরুরী
রোজকার কাছে কিছু নিয়ম মেনে চলাই উচিৎ। যেমন ধরুন, শাওয়া শেষে টাওয়েল আপনি বিছানাতেই ফেলে রাখেন। কী দরকার বলুন তো? একটু কষ্ট করে বারান্দায় মেলে দিন কিংবা নিজের জুতগুলো গুছিয়ে রাখুন। কীভাবে আপনাদের সংসার চলবে সেই বিষয়ে কিছু নিয়ম দুজনে একসাথে বসে তৈরি করে নিন আর সেগুলো মেনে চলুন। অনেক সমস্যাই সহজ হয়ে যাবে