শরীরচর্চা/ব্যায়াম শরীরকে ফিট, সুন্দর ও সতেজ রাখতে সাহায্য করে। শরীরে সতেজ, সুন্দর ও সুস্থ থাকলেই সকল ক্ষেত্রে কাজ করতে আনন্দ পাওয়া যায় এবং নিজেকে ফুরফুরে লাগে। অসুস্থ এবং দুর্বল শরীরে সব কিছুতেই অবসাদ লাগে। তাই শরীরচর্চা করা আমাদের সকলের জন্য খুব প্রয়োজন। তবে শুধু শরীরচর্চা করলেই করলেই আপনি সতেজ, সুন্দর ও ফিট থাকবেন না। শরীরচর্চার সাথে এর আগে আর পরে প্রয়োজন নিয়ম করে কিছু খাবার খাওয়া।
এখন কথা হচ্ছে শরীরচর্চার আগে আমাদের খাদ্য তালিকাটা কেমন হওয়া উচিৎ বা কি খাওয়া উচিৎ!
অনেকেই ভাবে যে, ব্যায়াম তো করেছি, শরীরের শক্তি অপচয় হয়েছে এখন যা ইচ্ছা তাই খেয়ে আগে শরীরের খাদ্য যোগান দেই৷ কিন্তু না, এ ভুল কখনোই করবেন না!
খাবার অবশ্যই খাবেন তবে শরীরচর্চা/ব্যায়ামের আগে ও পরে নিয়ম করে কিছু খাবার খান বা খাদ্য তাকিলা তৈরি করে রাখুন। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ব্যায়ামের আগে ও পরে কী খেতে হবে। তাহলে চলুন জেনে নেই শরীরচর্চা/ ব্যায়ামের আগে ও পরে খাদ্য তালিকা কেমন হওয়া উচিৎ-
শরীরচর্চা / ব্যায়ামের আগে-
>> জিমে বা ব্যায়ামে যাওয়ার এক ঘণ্টা আগে কাবোর্হাইড্রেট জাতীয় খাবার খেতে হবে। ব্যায়ামের আগে ফল খেতে পারেন।
>> ব্যায়ামের আগে খাওয়ার জন্য আপেল বেশ আদর্শ ফল। এর পাশাপাশি টোস্ট, কর্নফ্লাকস এগুলোও খেতে পারেন। এ ছাড়া জটিল কার্বোহাইড্রেট হিসেবে কলাও খেতে পারেন। এই খাবারগুলো হজম হতে কম সময় লাগে এবং ব্যায়ামের আগে শরীরে শক্তি জোগাবে।
>> ব্যায়ামের আগে অবশ্যই এক গ্লাস জল পান করে নেবেন। এর ফলে শরীর ভালোভাবে আর্দ্র থাকবে।
>> কখনোই খালি পেটে ব্যায়াম করতে যাবেন না। ব্যায়ামের ফলে যে চাপ পড়বে সেটি শরীরের শর্করার মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে। যার ফলে হাইপোগ্লেসিমিয়া হয়ে শরীর অবসন্ন হয়ে যেতে পারে। তাই কখনোই খালি পেটে ব্যায়াম করতে যাবেন না।
>> ডায়াবেটিক হলে ভারি খাবারের পর ব্যায়াম করা প্রয়োজন। তবে সাধারণ লোকের জন্য ভারি খাবারের দুই তিন ঘণ্টা পর ব্যায়াম করলে ভালো হয়। এতে দেহের শর্করার মাত্রা ঠিক থাকে।
শরীরচর্চা / ব্যায়ামের পর-
>> ব্যায়ামের পর শরীরের করটিসলের (এটি এক ধরনের ধ্বংসাত্মক হরমোন) মাত্রা বেড়ে যায়। এর ফলে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বাড়ে। ব্যায়ামের পরের সময়টিকে ‘ওইনডো পিরিয়ড’ বলা হয়। এ সময় শরীরে তাই সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে। তাই এই অবস্থা প্রতিরোধে যত দ্রুত সম্ভব খাবার খান।
>> শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে ব্যায়ামের পর জল পান করুন।
>> দেহের শক্তির জন্য প্রোটিনের প্রয়োজন আছে। তবে প্রোটিন হজম করা একটু কঠিন, এটি কিডনিতে চাপ ফেলে। তাই প্রোটিনের পাশাপাশি আঁশ জাতীয় খাবার এবং সবুজ শাকসবজি খান।
>> পেশি বাড়াতে উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার প্রয়োজন। এর জন্য অনেকে প্রোটিনের সাপলিমেন্ট খেয়ে থাকেন। তবে সবচেয়ে ভালো হয় যদি কলা এবং আপেল একসঙ্গে ব্লেন্ড করে খেতে পারেন। এটা প্রোটিন এবং কাবোর্হাইড্রেট দুটোরই চাহিদা পূরণ করবে।
ব্যস্ত জীবনে অনেকেই এই বিষয়টি এড়িয়ে চলেন বা ভুলেই যান। তবে চেষ্টা করবেন শত ব্যস্ততার মাঝে যেনো একটু সময় করতে পারেন শুধুই নিজের জন্য।bs