মার্কিন এক গবেষণায় দেখা গেছে জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধ সেবনের ফলে নারীদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। যে সব মহিলারা অতীতে জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধ ব্যবহার করেছেন বা বর্তমানে সেবন করছেন এমন ১,১০০ জন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর উপর একটি পরীক্ষা চালানো হয়েছে। এবং এই গবেষণায় দেখা গেছে এদের ৫০ শতাংশের বেশি নারীর মধ্যে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধ খাওয়া বন্ধ করার পর ১০ বছর পর্যন্ত স্তন ক্যান্সারের কোনো লক্ষণই পরিলক্ষিত হয় না বা হওয়ার তেমন কোন আশঙ্কাও থাকে না। তবে গবেষকরা বলছেন ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কম পরিমাণে সেবন করলে এ ক্ষেত্রে ঝুঁকি কম থাকে।
গবেষকরা বলছেন, যেসব নারীরা জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধ বেশি ব্যবহার করেন, তাদের ক্ষেত্রে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় অনেকটাই বেশি। সে জন্য জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধ সেবনের মাত্রা ও বিভিন্ন ধরনের জন্মনিয়ন্ত্রণের ফর্মুলেশন নিয়ে সতর্কতা অত্যন্ত জরুরি।
জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধ ব্যবহারের আগে নারীদের চিকিৎসকের সঙ্গে জন্মনিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন দিক ও অন্যান্য বিকল্প উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা করা উচিত।
জানা যায়, যদিও গত ৩০ বছরে ইস্ট্রোজেনের কম্বাইন্ড পিল-এর মাত্রা আগের তুলনায় অনেক কমানো হয়েছে। তারপরেও গরেষকরা এখনো নিশ্চিত নন যে, ইস্ট্রোজেনের কম্বাইন্ড পিল এর মাত্রা কত কম হলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায় বা সম্ভাবনা একই থাকে কিনা! তারা মনে করছেন এই বিষয়ে আরো বিস্তর গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।
চিকিৎসকদের মতে, জন্মনিয়ন্ত্রন পিল সেবন করলেও সাধারণত ৪০ বছরের আগে মেয়েদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কম থাকে। অথচ নতুন গবেষণায় মার্কিন গবেষকরা দাবি করছেন ইস্ট্রোজেন বার্থ কন্ট্রোল কম্বাইন্ড পিল সেবনের ফলে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি ৫০ শতাংশ বেড়ে যায়।
মার্কিন গবেষক দল ১,১০২ জন নারীর উপর টানা ১০ বছর ধরে গবেষণা চালিয়ে এই তথ্য পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।bs