সকাল থেকে শুরু করে রাত অবধি চা খেয়ে থাকেন অনেক। চা খেলে শরীর ও মন চাঙ্গা থাকে। আর চা যদি থেকেই হয়, তবে খেতে পারেন গ্রিন টি। এই গ্রিন টি দিয়ে শুরু করতে পারেন আপনার দিনের সকাল।
সাধারণত বাগান থেকে চাপাতা তোলার পর কীভাবে তা প্রক্রিয়াকরণ করা হচ্ছে, তার ওপরই চায়ের ধরন ও গুণাগুণ নির্ভর করে। যত কম প্রক্রিয়াকরণ হবে, চায়ের গুণাগুন তত বেশি বজায় থাকবে।
আসুন জেনে নিই সকালে গ্রিন চায়ের উপকারিতা-
চা পানের পরই সব ক্লান্তি চলে যায়, বেশ সতেজ লাগে। চায়ে থাকা উপাদান ক্যাটেচিনের কারণেই এমন সুখানুভূতি প্রকাশ পায়। চায়ে মূলত তিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকে, যা শরীরের জন্য উপকারী। আইসোফ্লাভন, পলিফেনল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
গ্রিন টি
গ্রিন টি সবচেয়ে কম প্রক্রিয়াকরণ করা হয়। তাই সবুজপাতা অনেকটা সবুজ থাকে। ফলে এই চায়ে সবচেয়ে বেশি গুণ রয়েছে। দিনে ২ কাপ গ্রিন টি পান করাই যায়। এই চা শরীরের রক্ত চলাচল বাড়িয়ে শরীরকে সতেজ ও ঝরঝরে করে তোলে এবং অতিরিক্ত ওজন কমায়।
১. অ্যান্টি কার্সিনোজেনিক-গ্রিন টিতে অ্যাপিক্যাটেচিন, অ্যাপিগ্যালোক্যাটেচিন-৩-গ্যালাট উপাদান শরীরে ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
২. ব্লাড সুগার- এই চা পান করলে ইনসুলিন রেজিট্যান্স কমে আর ইনস্যুলিন সেনসিটিভিটি বাড়িয়ে দেয়, ফলে অল্প ইনস্যুলিনেই বেশি কাজ হয়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৩. ওরাল হাইজিন- ‘ইউরোপিয়ান জার্নাল অফ নিউট্রিশন’ অনুযায়ী মুখের দুর্গন্ধ, দাঁত বা মাড়ির যেকোনো রকম সমস্যা থাকলে গ্রিন টি খেতে পারেন।
৪. এই চায়ে উপস্থিত ক্যাটেচিন ও পলিফেনল হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে এবং চায়ে বিদ্যমান অ্যাপিগ্যালোক্যাটেচিন গ্যালাট নামক একটি যৌগিক পদার্থ চুল গজাতেও সাহায্য করে।
৫. অ্যান্টি এজিং-পলিফেনল বয়স ধরে রাখতে সাহায্য করে। ত্বকের ঔজ্জ্বল্যতা বাড়ায় ও স্নায়ুর ক্ষতি প্রতিহত করে।
৬. রক্তচাপ- শরীরে উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধিকারী হরমোনকে নিয়ন্ত্রণে রেখে রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে।