মুলার যে এতো গুণ, জানলে চমকে যাবেন আপনিও

শীতকালীন সবজি মুলা পুষ্টি গুণে সমৃদ্ধ একটি খাবার। এটা সাদা, লাল, বেগুনি,কালো রঙের হয়। তবে আমাদের দেশে সাধারণত সাদা এবং লাল রঙের মুলাই বেশি দেখা যায়।

রান্নার সময় তীব্র গন্ধের কারণে অনেকে মুলা খেতে পছন্দ করেন না। তবে এর শাক যেমন স্বাস্থ্য গুণে ভরপুর, তেমনি এর মুল মানে সবজিও গুণে অনন্য।

মুলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম এবং ভিটামিন সি রয়েছে। এতে থায়ামিন, নিয়াসিন, রিবোফ্লাভিন, ফলিক এসিড এবং ভিটামিন ‘বি৬’, ‘এ’ এবং ‘কে’ রয়েছে। এছাড়া এটি আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস এবং জিঙ্কেরও ভালো উৎস।

মুলা লিভার এবং পাকস্থলীর জন্য দারুণ উপকারী। এটি শরীর পরিষ্কার করতে প্রাকৃতিকভাবে কাজ করে। মুলা শরীর থেকে টক্সিন পদার্থ বের করে রক্ত পরিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, মুলা জন্ডিস রোগীদের জন্য দারুণ উপকারী। এটা বিলিরুবিন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।

প্রতিদিন আধকাপ মুলা সালাদ হিসাবে খেলে দৈনিক চাহিদার ১৫ শতাংশ ভিটামিন ‘সি’র ঘাটতি পূরণ হয়।আর ভিটামিন ‘সি’ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

মুলায় থাকা ফাইবার হজমশক্তি বাড়ায়। সেই সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। অন্যদিকে মুলা শাকও হজমশক্তি বাড়াতে দারুণ কাজ করে। এটি ডায়রিয়া রোগীদের জন্যও উপকারী।

মূত্রনালির সংক্রমণ প্রতিরোধে মুলার জুস বেশ কার্যকর। এটা কিডনিরও সুরক্ষা করে।

মুলাতে ফাইবার ও জল থাকায় এটি খেলে পেট ভরা অনুভূত হয়। তখন বেশি খাওয়ার প্রবণতা কমে। এ কারণে এটি ওজন কমাতেও ভূমিকা রাখে।

মুলাতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকায় এটি রক্তে শর্করার পরিমান নিয়ন্ত্রণ করে। এ কারণে এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও উপকারী।bs

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy