শুধু রাতে ঘুমানোর জন্য নয়, ঘরের সৌন্দর্য বাড়াতেও বালিশের ভূমিকা অস্বীকার করার নয়। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, হ্যাঁ, সৌন্দর্য বাড়াতে ব্যবহার করতেই পারেন, কিন্তু মাথার নিচে বালিশ গুঁজে শোয়ার অভ্যাস এখনই বদলে ফেলুন। না হলে কিন্তু পস্তাতে হতে পারে।
কিন্তু কী করা যাবে, মাথার নিচে ওই এক পুঁটলা তুলো না থাকলে যে ঘুমই আসতে চায় না। কেমন একটা অস্বস্তি টেনে হিঁচড়ে ঢুকতে দেয় না ঘুমের রাজ্যে। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, কয়েকটা দিন একটু কষ্ট স্বীকার করুন, দেখবেন আপনা আপনি অভ্যাস বদলে যাবে। আর কেন বদলাবেন, তার জন্যও হাজির হয়েছে সাতটি কারণ।
১. ব্রণ এবং বলিরেখা:
বালিশে মাথা দিয়ে শোয়ার পর গালের যে দিকটা বেশির ভাগ সময় বালিশের সাথে সংযুক্ত থাকে সেখানেই আধিক্য দেখা যায়। এক তো রক্তচাপ অন্য দিকে বালিশে থাকা অবাঞ্ছিত ব্যাকটেরিয়া। নরম নরম বালিশে মাথা দেওয়ার পর মাথার ভার নির্দিষ্ট একটা জায়গায় পড়ে থাকে, ফলে মুখের ত্বকে টান পড়ে। যা দীর্ঘ দিন ধরে চলতে থাকলে বলিরেখার জন্ম দেয়।
২. শিরদাঁড়ার ব্যথা:
মাথার সাথে বাকি শরীরের তল বদলে দেয় বালিশ। যার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে শিরদাঁড়ায়। যারা শিরদাঁড়ার ব্যাথায় কাবু তারা বালিশ ছেড়ে দিলেই এর সুফল অনুভব করতে পারবেন।
৩. ঘুমের গুণগত মান:
বালিশ মাথায় দিয়েও শান্তি নেই। মনে হয়, শক্ত হয়ে গেছে, এত শক্ত বালিশে ঘুম হয় না, বালিশ থেকে মাথা গড়িয়ে পড়ে যাচ্ছে, ইত্যাদি সূক্ষ চিন্তা ঘুমকে গভীরতায় ঢুকতে দেয় না।
৪. স্ট্রেস প্রতিরোধে:
কোন দিকে মাথা ফিরে শুতে পারলে স্ট্রেস কমবে, সে নিয়ে বিশদ আলোচনা চলে। ফলে ওই রকম চিন্তাও নতুন করে স্ট্রেসের জন্ম দেয়।
৫. স্মৃতিশক্তি:
যতক্ষণ জেগে আছি ততক্ষণও এদিক-ওদিক দৌড়াচ্ছে মাথা। ফলে ঘুমের মধ্যে তাকে একশো শতাংশ বিশ্রাম দিতে ক্ষতি কী। কিন্তু বালিশের বোঝা তাকে বয়ে নিয়ে যেতে হয়- এই রে মাথাটা বালিশ থেকে পড়ে যা্চ্ছে না তো?
৬. শিশুর চ্যাপ্টা মাথা:
নরম বালিশে নির্দিষ্ট একটি দিকে শুয়ে ঘুমোতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে শিশুরা। তাই এক দিকে শোয়ার ফলে নরম মাথা সে দিকটাতেই চ্যাপ্টা আকার ধারণ করে।
৭. শিশুর শ্বাস-প্রশ্বাস:
শিশু বোঝে না তার নিজের সমস্যার কারণ ও প্রতিকার। ফলে বালিশে মুখ গুঁজে গেলে তার শ্বাস-প্রশ্বাসে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনি তা লক্ষ্য করছেন