প্রেমের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার ১০টি উপায়

অতি ব্যস্ততা, সঙ্গীর সমস্যা, সঙ্গীর পরিবারের সদস্যদের তীর্যক মন্তব্য অনেক কারণেই সম্পর্ক ভাঙতে পারে। কখনও ভেবে দেখেছেন, আপনার নিজের কারণে এই সঙ্কট হয়েছে কীনা? এজন্য নিজেকে যাচাই করার কিছু কৌশল অনুসরণ করতে পারেন। সেই সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার আগে সমাধানেরও চেষ্টা করতে পারেন।

আপনি কি সন্দেহবাতিক?

কোনও সম্পর্কে যদি একে অপরের প্রতি বিশ্বাস না থাকে, তা হলে সমস্যা ক্রমশ বাড়তে থাকে। প্রথমদিকে মনে হতে পারে, ঈর্ষা বা পজ়েসিভনেসের জন্য এমনটা করছেন, সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু এ থেকেই ঝগড়া, তিক্ততা শুরু হয়

কী করবেন: সঙ্গীকে চোখে হারানো এক কথা, আর তাকে অকারণে সন্দেহ করাটা আর এক সমস্যা। এ দুটির পার্থক্য বুঝতে হবে।

নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন?

প্রতিটি মানুষের মনেই নির্দিষ্ট কিছু স্পর্শকাতর বিষয় থাকে। আপনি কেমন দেখতে, বেশি মোটা লাগছে কিনা ইত্যাদি দ্বিধা-দ্বন্দ্ব আসতেই পারে, তাতে অস্বাভাবিকতা নেই মোটেই। কিন্তু যারা দিনের পর দিন এমন নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন, তাদের পক্ষে এবং তাদের সঙ্গে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা খুব মুশকিল।

কী করবেন: এই নিরাপত্তাহীনতার আসল কারণটা খুঁজে বের করার জন্য প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন। নিজেকে ভালোবাসুন।

সঙ্গীর সঙ্গে সবসময় জুড়ে থাকতে চান?

সঙ্গীর সঙ্গে সারাক্ষণ জুড়ে থাকাটা কোনও সমাধান নয়, বরং তাতে সমস্যা আরও বাড়ার আশঙ্কাই বেশি।

কী করবেন: নিজেকে স্পেস দিন, সঙ্গীকেও স্পেস দিতে হবে।

খুঁতখুঁতে স্বভাব?

বাড়ির সবকিছু একেবারে নিঁখুত না থাকলে কি আপনি খুঁতখুঁত করেন? এরকম স্বভাব হলে সম্পর্কে ঝামেলা হবেই।
কী করবেন: ঘরের কাজগুলো ভাগাভাগি করে নিতে পারেন, তাতে দু’জনেরই সুবিধে হবে।

কথায় কথায় কান্নাকাটি করেন?
সামান্য ব্যাপারে কান্নাকাটি, হাত-পা ছুড়ে চিৎকার, ইমোশনাল ব্ল্যাকমেল করা কি আপনার অভ্যাস? এর ফলে সম্পর্কের সাঙ্ঘাতিক ক্ষতি হতে পারে।

কী করবেন: আপনিও কি রেগে গেলে প্রকাশ্যে এমন ব্যবহার করেন? তা হলে অবশ্যই ঠান্ডা মাথায় সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলতে হবে এবং তার কথাও।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy