ত্বকের যত্নে কীভাবে ব্যবহার করবেন কলার খোসা, ফেলে না দিয়ে রেখে দিন

কলার গুণাগুণ সম্পর্কে আমরা সকলেই অবগত। কলা যেমন পুষ্টিকর, তেমনই সুস্বাদু। স্বাস্থ্যের পাশাপাশি কলা ত্বকেরও নানান উপকার করে। তবে কেবল কলা নয়, এই ফলের খোসারও গুণ রয়েছে। কলার খোসায় পুষ্টি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা আমাদের ত্বকের নানা সমস্যার সমাধান করতে পারে নিমেষেই। চোখের ফোলাভাব থেকে শুরু করে ডার্ক সার্কেল ও ব্রণের দাগ পর্যন্ত দূর করতে পারে কলার খোসা।

তাহলে জেনে নিন, ত্বকের যত্নে কলার খোসা কীভাবে ব্যবহার করবেন এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে।

> কলার খোসার ভেতরের অংশটি আপনার ত্বকে আলতোভাবে ঘষুন এবং আধা ঘণ্টা এইভাবে রেখে দিন। পরে হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কলার খোসায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা ত্বককে টানটান করতে সাহায্য করে।

> কলার খোসার একটি ছোট টুকরা কেটে ভেতরের সাদা অংশ যেখানে ব্রণ হয়েছে সেখানে ঘষুন। খোসা বাদামি রঙের না হওয়া পর্যন্ত ঘষতে থাকুন। তারপর খোসার ভেতরের সাদা অংশ ত্বকে ৩০ মিনিট রাখার পর একটি গরম তোয়ালে দিয়ে ঘষে তুলে ফেলুন। ভালো ফলাফলের জন্য, এই খোসা দিনে দু’বার পরপর কয়েকদিন ঘষুন। এই ঘরোয়া প্রতিকারটি ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করবে। কমবে দাগ-ছোপও।

> কলার খোসা চোখের নীচের কালো দাগ হালকা করতেও সাহায্য করে। কলার খোসার ভেতর থেকে সাদা আঁশগুলি চামচ দিয়ে বের করে অ্যালোভেরা জেলের সাথে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি মেখে চোখ বন্ধ করে কিছুক্ষণ থাকার পর, ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে নিন। সপ্তাহে তিন দিন করলেই চোখের কালি এবং ফোলাভাব দূর হবে। এছাড়াও, কলার খোসার টুকরো নিয়ে চোখের নীচে ঘষতে পারেন।

> কলার খোসার পেস্ট তৈরি করে তার সঙ্গে একটা ডিমের কুসুম মেশান। এবার এই মিশ্রণটি পুরো মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। তারপর মুখ ধুয়ে নিন। এই ফেস প্যাকটি বলিরেখা কমাতে পারে।

> ঠোঁটের ক্ষেত্রেও কলার খোসা অত্যন্ত উপকারি। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এই বস্তু ঠোঁটে ঘষলে আর্দ্রতা বাড়ে ঠোঁটের।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy