সম্প্রতি ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউট প্রকাশিত একটি গবেষণামূলক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, যারা চুলে কেমিক্যাল হেয়ার স্ট্রেটনার ব্যবহার করেন তাদের ইউট্যারাইন ক্যান্সারের সম্ভাবনা বেশি। গবেষকদের মতে এই সব ট্রিটমেন্টগুলোয় প্যারাবেন, বিসফেনল এ, ফর্মালডিহাইডের মতো কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। যদিও তারা অন্যান্য হেয়ার ডাই বা ব্লিচে, এমন ইউটেরাইন ক্যানসারের সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন।
ইউনাইটেড স্টেটস ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এনভায়রনমেন্টাল হেল্থ সেফটির এলেক্সান্দ্রা ওয়াইট জানিয়েছেন, যে সব নারীরা চুলে কেমিক্যাল ট্রেটনার ব্যবহার করেন না, তাদের অধিকাংশেরই ৭০-এর কাছাকাছি পৌঁছে ইউটেরাইন ক্যানসারের সম্ভাবনা থাকে। তাও সেই সম্ভাবনা ১.৬৪ শতাংশ। তবে ৭০-এর আগে নয়। অন্যদিকে যারা চুলে এই কেমিক্যাল ব্যবহার করেন তাদের ক্ষেত্রে রিস্ক থেকে যায়।’
কেবল ২০২২-এ ইউটেরাইন ক্যানসার রোগীর সংখ্যা গোটা পৃথিবী জুড়ে ছিল ৬৫ হাজার ৯৫০ জন। মূলত মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের মধ্যে এই রোগের গ্রাফ বাড়ছে। চে জাঙ্গ চ্যাঙ নামে একজন পিএইচডি স্কলার জানাচ্ছেন, কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের মধ্যে চুলে কেমিক্যাল ব্যবহারের রীতি অনেক অল্প বয়স থেকেই লক্ষ্য করা যায়। এই গবেষণাগুলো তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
২০০৩ থেকে ২০০৯ এর মধ্যে ৩৫-৭৪ বছর বয়সী ৩৩ হাজার ৯৪৭ জন নারী এই গবেষণায় অংশ নেন। এতে দেখা যায় যে সব নারী কেমিক্যাল ব্যবহার করেন তাদের ইউট্যারাইন ক্যান্সারের সম্ভাবনা ৪.০৫ শতাংশ।
হেয়ার স্ট্রেটনিংয়ে মহাবিপদ
হেয়ার স্ট্রেটনিংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে আছে মরণব্যাধি রোগ; বিষয়টি নিয়ে অনেকেই সন্দিহান। কিন্তু গবেষকরা বলছেন অন্য কথা। তাদের মতে, চুল স্ট্রেট করানোর সঙ্গে ক্যানসার রোগের গভীর যোগ রয়েছে। আসলে চুল সোজা করার সময় যেসব রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, সেগুলো এই রোগের পেছনে কলকাঠি নাড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনকি বেশ কিছু পরীক্ষার পর মার্কিন ফুড এবং ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন হেয়ার স্ট্রেটনিংয়ের সময় ব্যবহৃত বেশ কিছু রাসায়নিক নিয়ে আপত্তিও তুলেছে।