১. কান পরিষ্কারের যত উপায়
বিশেষজ্ঞরা কান পরিষ্কারের প্রচলিত পদ্ধতিগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ বলেই মনে করেন। এগুলো দিয়ে পরিষ্কারের সময় ছোট টুকরো ভেঙে কানের মধ্যে থেকে যেতে পারে। নিউ ইয়র্কের সানি ডাউনস্টেট মেডিক্যাল সেন্টারের ওটোলারাইনজোলজি রিচার্ড রোজেনফিল্ড জানান, এভাবে কান পরিষ্কার করতে গেলে খোঁচা লেগে ড্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
২. হেডফোনে জোরে গান শোনা
আমেরিকার ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অন ডেফনেস’-এর এক হিসাবে বলা হয়, ২০-৬৯ বছর বয়সীদের ১৫ শতাংশের কানে সমস্যা দেখা দেয় উচ্চ মাত্রার শব্দের কারণে। জার্নাল অব ওটোলজির এক গবেষণায় বলা হয়, কানের সমস্যার অন্যতম প্রধান কারণ হেডফোনে উচ্চশব্দে গান শোনা। কানের মধ্যে এত শক্তিশালী শব্দ শ্রবণক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
৩. আঙুল দিয়ে কান খোঁচানো
অনেকেই আঙুল কানের গভীর ঢুকিয়ে দিতে চান। মানুষের আঙুল ও নখে থাকে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া। এগুলো মারাত্মক সংক্রমণ ঘটাতে পারে। যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাদের ঝুঁকির মাত্রা অনেক বেশি। কর্ণকূহরে রয়েছে ছোট ছোট রক্তনালি। আঙুলের চাপে এগুলো আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
৪. নিজেই কান ফুটো করা
দুল পরতে কান ফুটো করে অনেকে। বিশেষ করে প্রত্যেক নারীই তা করে থাকে। সমস্যা হলো, অনেকে নিজে বা কোনো বন্ধুকে দিয়ে কাজটি করিয়ে থাকে। অথচ তা একজন এক্সপার্টকে দিয়ে করানো উচতি। অস্বাস্থ্যকর উপায়ে এটি করতে গেলে স্থায়ী ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। পেশাদারদের দিয়েই তাই কাজটি করানো উচিত।
৫. বিশেষজ্ঞের কাছে না যাওয়া
কানে ব্যথা বা অন্য কোনো সমস্যায় বিশেষজ্ঞের কাছে না যাওয়া আরেকটি মারাত্মক ভুল। অনেক সময়ই কানে অস্বস্তি বোধ করতে পারি আমরা। এ ছাড়া মাঝেমধ্যে মারাত্মক ঝামেলাবোধও হতে পারে। যেকোনো অস্বাভাবিকতা দেখলেই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত।bs