অন্যের ইয়ারফোন ব্যবহারে যেসব ক্ষতি হতে পারে আপনার, জেনেনিন আর সতর্ক থাকুন

আমরা অনেকেই অন্যের ইয়ারফোন ব্যবহার করি। প্রিয় বন্ধু কিংবা সহকর্মীর কাছ থেকে কাজের প্রয়োজনে তার ইয়ারফোন ব্যবহার করাটা দোষের কিছু নয়। তাই তো? স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে সত্যিটা তাহলে এবার জেনে নিন।

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল হেলথ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কেলি রেনল্ডসের বলেন, কানে ইয়ারফোন লাগানোর পর তা কানের ভেতরে থাকা ব্যাকটেরিয়াকে উষ্ণ করে তোলে এবং ইয়ারফোনে যদি কোনো জীবাণু থেকে থাকে, সেটিকেও।

তার মতে, ‘ইয়ারফোনে ব্যাকটেরিয়া আটকে থাকতে পারে, কানের ময়লা শুকিয়ে যেতে দেয় না, ফলে ব্যাকটেরিয়া বেচেঁ থাকতে পারে এবং বৃদ্ধি পেতে পারে।’

বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘যদি এই ব্যাকটেরিয়া অনেক বেশি সংখ্যক হয়ে যায়, তাহলে এটি ইনফেকশনের কারণ হয়ে উঠতে পারে।’

এছাড়া কখনো কখনো ইয়ারফোন/হেডফোন দীর্ঘ সময় যেমন ঘুম বা ব্যায়ামের সময় থাকায় ঘষা থেকে কানে সামান্য ক্ষত বা কাটা সৃষ্টি করতে পারে। এই ক্ষত বা কাটায় ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে ইনফেকশন ঘটাতে পারে এবং কানে ব্যথার সৃষ্টি করতে পারে।

তাহলে ভাবুন, আপনার নিজের ক্ষেত্রে যদি অতিরিক্ত ইয়ারফোন বা হেডফোনের ব্যবহার এসব সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে, তাহলে অন্যের ইয়ারফোন ব্যবহারের ফলাফল কেমন হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, অন্যের ইয়ারফোন ব্যবহারের মাধ্যমে কানে নতুন এবং আরো অনেক ব্যাকটেরিয়া নিয়ে আসছেন। বন্ধুরা তাদের ইয়ারফোন/হেডফোন পরিষ্কার করেছে কিনা, তা সম্ভবত আপনার জানা নেই। তাদের টেবিলে কিংবা ব্যাগে রাখা ইয়ারফোন থেকে নতুন ‘পরদেশি’ ব্যাকটেরিয়া আপনাকে কানে ইনফেকশন সৃষ্টি করতে পারে।’

সুতরাং অন্যের ইয়ারফোন ব্যবহারের অভ্যাস বাদ দেওয়ার পাশাপাশি, আপনার নিজের ইয়ারফোনটিও আপনার কানের জন্য পরিষ্কার এবং নিরাপদ নিশ্চিত করুন। ইয়ারফোন বা হেডফোন অ্যালকোহল দিয়ে মুছে রাখুন এবং শুকিয়ে পরিষ্কার রাখুন। এতে ইনফেকশনের ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকবে কান।bs

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy