দিন দিন বদলাচ্ছে সুস্থ থাকার নিয়ম, ধরন। কখনো যোগাভ্যাস, কখনো ভারী শরীরচর্চা। আবার কখনো কার্ডিয়োয় মনোযোগ দিয়ে শরীর সুস্থ রাখার পথ খুঁজে বেড়াচ্ছেন মানুষ। বর্তমানে ফিটনেস প্রশিক্ষকদের পছন্দের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে পালাটেস।
গত শতকের গোঁড়ার দিকে জোসেফ পিলাটেস শুরু করেছিলেন ফিট থাকার এই নতুন উপায়। তার নাম থেকেই পরে নামকরণ হয়। কোনো যন্ত্রপাতির ব্যবহার নয়, কেবল স্ট্রেচিংয়ের ওপর জোর দেওয়া হয় এ বিশেষ পদ্ধতিতে। বলিউডের অনেক অভিনেতাও সুস্বাস্থ্য পেতে পালাটেসে ভরসা রাখছেন।
আর কী কী সুফল পাওয়া যায় এই শরীরচর্চা করলে?
১) স্লিপ ডিস্ক, ফ্রোজেন শোল্ডার, স্পন্ডিলোসিস, আর্থ্রাইটিস— এই ধরনের সমস্যা ও ব্যথা থেকে পালাটেস অনেকাংশে মুক্তি দেয়। পালাটেস কোনো রোগ নির্মূল করে না। কিন্তু হাড়, অস্থিসন্ধি, পেশিগত নানা আঘাতের কষ্ট কমিয়ে সুস্থ জীবনে ফেরাতে সাহায্য করে করে এই ব্যায়াম।
২) মেরুদণ্ড, তলপেট, পেটের ওপর দিক এবং পেলভিক অঞ্চলের পেশির জোর বাড়িয়ে গোটা শরীরের ভারসাম্য বাড়াতে সাহায্য করে। ব্যায়ামটি শরীর নমনীয় করে তুলতে সাহায্য করে।
৩) আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। যন্ত্রণায় কাবু হয়ে যারা হাঁটতে-চলতে কষ্ট পান, তারাও নিয়মিত পালাটেস চর্চার মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে পারেন। মানসিক অবসাদ কমাতেও এই ব্যায়াম দারুণ উপকারী।
৪) এছাড়াও মেদ কমাতে এই ব্যায়াম বেশ উপকারী। পেশির জোর বাড়ে। পালাটেস করলে ওজন মারাত্মক কমবেই, তার কোনো মানে নেই। কিন্তু শরীরের গড়ন সুন্দর করতে এই ব্যায়াম সাহায্য করে।
ব্যায়াম করার সময়ে কোন বিষয়গুলো মাথায় রাখা দরকার?
১) শ্বাস-প্রশ্বাস : ঠিক মতো শ্বাস নেওয়া ও পুরোপুরি নিঃশ্বাস ছাড়ার মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে ফিট থাকার মন্ত্র। টেনে শ্বাস নিলে অনেকটা অক্সিজেন শরীরের ভিতরে প্রবেশ করে, ফলে রক্ত পরিশুদ্ধ হয়। এই ব্যায়ামের ক্ষেত্রেও কখন শ্বাস নেবেন আর কখন নিঃশ্বাস ছাড়বেন সেটি কিন্তু ভীষণ জরুরি। সঠিক উপায়ে শ্বাস নিলে তবেই মিলবে সুফল।
২) নিয়ন্ত্রণ : অনেক সময়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির বিপরীতে পেশি উত্তোলন করা হয়। ফলে নিয়ন্ত্রণও গুরুত্বপূর্ণ।
৩) মনোযোগ : এই ব্যায়ামের ক্ষেত্রে মনোযোগ ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত চোট আঘাতের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এই ব্যায়াম করা হয়। তাই মনোযোগ না দিলে ব্যায়াম করার সময় পেশিতে চোট পেতে পারেন।bs