ক্যান্সারকে মরণব্যাধি বলা হলেও এখন এই রোগের চিকিৎসা হচ্ছে এবং সেরে উঠছেন অনেক রোগী।
ক্যান্সার আক্রান্ত রোগকে যখন কেমোথেরাপি দেয়া হয়, তখন শরীরে বেশি করে মেডিসিন দেয়া হয়। ফলে বিভিন্ন প্রকারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়, যেমন—চুল পড়ে যাওয়া, চোখের নিচে কালো দাগ ও খাবারে অরুচি।
ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসার পাশাপাশি খাবারের প্রতি যত্নশীল হতে হবে।
ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীরা ফ্রেশ সব খাবার খেতে পারবেন। তবে চার ধরনের খাবার ক্যান্সার রোগীরা খাবেন না। এসব খাবার তাদের জন্য ক্ষতিকর।
যেসব খাবার ক্যান্সার রোগীরা খাবেন না
১. ফ্রিজে রাখা খাবার ক্যান্সার রোগীরা খাবেন না।
২. খাদ্য সংরক্ষণে ফরমালিন নিষিদ্ধ হয়েছে অনেক আগে। তবে নানা রকম প্রিজারভেটিভের ব্যবহার চলছেই। প্রিজারভেটিভ দেয়া খাবার খাবেন না।
৩. সিঙাড়া, সমুচা ও অতিরিক্ত মসলাজাতীয় খাবার ক্ষতিকর।
৪. বারবিকিউ জাতীয় খাবার, অর্থাৎ যেসব খাবার সরাসরি আগুনে পুড়িয়ে তৈরি করা হয় যেসব খাবার খাবেন না।
ক্যান্সার রোগীরা যা খাবেন
ক্যান্সার রোগীরা নরম ভাত খাওয়ার অভ্যাস করুন। কারণ কেমোথেরাপির সময় তা হজমে সমস্যা হয়। নরম ভাতের সঙ্গে ঠাণ্ডা তরকারি দিতে হবে। ঠাণ্ডা তরকারি বলতে তেল-মসলা কম দিয়ে খাবারটা দিতে হবে।
এ ছাড়া সবুজ শাকসবজি ও ফলমূল খাবেন। এ সময় শরীরে ভিটামিনস, মিনারেলস, আয়রন, হিমোগ্লোবিন—এগুলোর অভাব দেখা যায়। হিমোগ্লোবিন কমে গেলে বিট রুটের শরবত দেয়া যেতে পারে।
এ সময় খেতে পারেন প্রচুর হিমোগ্লোবিন ভরপর আনার। কচুশাক, লালশাক, ডাঁটাশাক; অবশ্যই ওটার সঙ্গে লেবুর রসটা মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। কারণ ভিটামিন সি সাধারণত আয়রন অ্যাবজর্বসনে সহায়তা করে।
প্রতিদিন একটি করে রসুন খেতে পারেন। রসুন একপ্রকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি শরীরের বিভিন্ন টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে। এ ছাড়া কেমোথেরাপির সময় রোগীকে বেশি করে জল পান করাতে হবে।
ক্যান্সার রোগীকে স্যুপ দেয়া যেতে পারে। টমেটো স্যুপে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, তা ক্যান্সার প্রিভেন্ট করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া সব ধরনের ফ্রেশ খাবার খান।bs