সস্তায় স্বাস্থ্যকর প্রোটিনের খোঁজ করছেন? ভরসা রাখুন ডালে

নানা কারণে কম-বেশি আমরা সবাই সংসারের খরচ কমানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু সেই সঙ্গে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে শরীরের শক্তি বজায় রাখার জন্য খাবারে পুষ্টির পরিমাণ অটুট রাখাটাও একইরকম জরুরি। আর সে কাজে আপনার প্রধান সহায় হয়ে উঠতে পারে নানা ধরনের ডাল। ডালের দাম আগের চেয়ে অনেকটাই বেড়েছে, এ কথা ঠিক। কিন্তু প্রাণিজ প্রোটিনের সঙ্গে তুলনা করলে তা কিছুই না। সেই সঙ্গে এটাও মনে রাখবেন যে পুষ্টিবিদদের মতে উদ্ভিজ্জ প্রোটিনও একইরকম কার্যকর, বরং তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনেকটাই কম।

সাধারণত সব প্রাণিজ প্রোটিনেই কিছুমাত্রায় ফ্যাট থাকে। ডালের প্রথম প্লাস পয়েন্ট হচ্ছে, তাতে প্রোটিনের মাত্রা বেশি হলেও ফ্যাটের প্রমাণ খুব কম। সেই সঙ্গে মেলে ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, জিঙ্ক, ফোলেট ইত্যাদি মিনারেলও। তাই দেখবেন আমাদের দেশে খুব সাধারণ খাবার বলতেও ডাল-ভাত বা ডাল-রুটির কথাই বলা হয়। খিচুড়ি – যা প্রায় দেশের জাতীয় খাবার, তার মধ্যেও থাকে প্রোটন আর কার্বোহাইড্রেটের পারফেক্ট মিশ্রণ। সঙ্গে যদি আপনি কোনও একটি শাক বা সবজির তরকারি নেন, তা হলে মিটে যাবে ভিটামিন আর খনিজের প্রয়োজনও। এমনকী আপনার পোষ্যটিকেও ডাল-ভাতের মিশ্রণ খাওয়াতে পারেন স্বচ্ছন্দে।

ডাল খেলে অনেকের পেট ফাঁপার সমস্যা হয়। সেটা এড়ানোর জন্য সারা রাত ডাল ভিজিয়ে রেখে দিন, সম্ভব হলে দু’বার জল পালটে দিতে হবে। অবশ্যই জিরে, রসুন, ধনে, আদা ইত্যাদি মশলার ব্যবহার করুন ডাল রান্নার সময়। যোগ করুন খানিকটা দেশি ঘি — তা জোগাবে ফ্যাট। রাজমা, কাবুলি চানা মধ্যপ্রাচ্যের নানা রান্নায় ব্যবহার হয়। কখনও মুখের স্বাদ বদলাতে হলে ফালাফাল বা হামাস ট্রাই করে দেখতে পারেন। যাঁদের ইউরিক অ্যাসিড বেশি, তাঁরাও ডাল খেতে পারেন — তবে আগে একবার ডাক্তারের পরামর্শ অবশ্যই নিতে হবে।Ts

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy