ব্রেস্ট ক্যান্সার খুব পরিচিত একটি রোগ। প্রতি বছর এই রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক নারীর মৃত্যু হয়। স্তন ক্যান্সারের সব কারণ আজও কিন্তু জানা সম্ভব হয়নি। তবে বেশ কিছু ‘রিস্ক ফ্যাক্টর’ জানা সম্ভব হয়েছে। স্থূলতা তার মধ্যে অন্যতম।
একটু সচেতন হলেই স্তন ক্যান্সার প্রথম দিকে ডায়াগনসিস করা সম্ভব। তাতে সমস্যা অনেক কমে যায়। রোগীর পরিণতিও ভালো হয়।
স্তন ক্যান্সারের বিভিন্ন উপসর্গ –
১. স্তনের আকার বা আকৃতিতে পরিবর্তন।
২. স্তনে পিণ্ড
৩. স্তনের ত্বকের পরিবর্তন
৪. স্তনের বোঁটা থেকে তরল পদার্থের নিঃসরণ
৫. নিপল বা স্তনের বোঁটা ভেতরে দেবে যাওয়া।
৬. স্তনের বোঁটার পরিবর্তন
ব্রেস্টে চাকার একটি কারণ হচ্ছে ক্যান্সার। অন্যান্য চাকার সঙ্গে এর পার্থক্য হল এটি সহজে নড়াচড়া করানো যায় না, উপরিভাগ অমসৃণ ও সাধারণত ব্যাথাহীন হয়ে থাকে।
কীভাবে ব্রেস্টের চাকা বুঝতে পারবেন?
ঘরে বসেই স্তন পরীক্ষা
সেলফ এক্সামিনেশন এর মাধ্যমে নিজেই নিজের স্তন পরীক্ষা করে দেখা যায়। প্রতি মাসে মাসিকের পর ঘরে বসেই আপনি এ পরীক্ষা করতে পারেন।
কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন?
যেকোনো চাকা অনুভব হলে অবশ্যই ডাক্তারি পরীক্ষার মাধ্যমে এর ধরন নির্ণয় করতে হবে, বিশেষ করে চাকাটি যদি মাসিক হওয়ার পরও মিলিয়ে না যায়, আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে অথবা ব্যথা থাকে।
চামড়ায় কোন পরিবর্তন
ব্রেস্টের চামড়ায় কোন পরিবর্তন লক্ষ করলে যেমন, কুঁচকানো ভাব, লোমকূপের ছিদ্র বড় হয়ে যাওয়া অথবা রঙের কোন পরিবর্তন। নিপল ভিতরের দিকে ঢুকে গেলে অথবা এ থেকে কোন অস্বাভাবিক ডিসচার্জ বা রস বের হলে।
কী কী পরীক্ষার দরকার হতে পারে?
চাকার কারণ নির্ণয়ের জন্য কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার দরকার হয়, যেমন আল্ট্রাসনোগ্রাম, এফ এন এ সি, বায়োপসি, ম্যামোগ্রাফি ইত্যাদি।
ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায়
যাদের ফ্যামিলিতে ব্রেস্ট ক্যান্সারের হিস্ট্রি আছে তাদেরকে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। এছাড়া সঠিক খাদ্যাভ্যাস, ওজন নিয়ন্ত্রণ, হরমোনাল পিল ৩-৫ বছরের অধিক গ্রহণ না করা এবং শিশুকে সঠিকভাবে বুকের দুধ পান করালে ব্রেস্ট ক্যান্সারের প্রতিরোধোক হিসেবে কাজ করে।bs