সদ্য চল্লিশে পা দিয়েছেন তাই বলে ভুলে যাবেন না ‘ফর্টি ইজ দ্য নিউ টুয়েন্টি’। বয়স বাড়ছে বাড়ুক ত্বকের ওপর যেন তার ছাপ না পড়ে। এটা ঠিক, বয়স বাড়লে সেই প্রভাব শরীর ও ত্বকের ওপর পড়তে বাধ্য। তবে সময় থাকতে ত্বকের পরিচর্যায় একটু সচেতন হলেই দীর্ঘদিন ধরে রাখা যাবে ত্বকের লাবণ্য। এর জন্য ত্বকের পরিচর্যায় একট রুটিন তৈরি করতে হবে। এই নিয়মাবলি কোন কোন বিষয় রাখবেন যাতে ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল থাকে তা দেখে নিন-
- মুখ পরিষ্কার করতে ক্লেনজারের ব্যবহার করতে পারেন। বাড়িতে ফল ও অন্যান্য প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে ঘরোয়া উপায়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। ফেস স্ক্রাব হিসেবেও প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারের চেষ্টা করুন।
- সকালে উঠে এবং ঘুমোতে যাওয়ার আগে অবশ্যই মুখ পরিষ্কার করে নিন। তবে এখানেই শেষ নয় মুখ পরিষ্কার করে ময়শ্চারাইজার লাগানো বাধ্যতামূলক। এতে ত্বক স্বাস্থ্যোজ্জ্বল দেখাবে।
- বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই কমতে থাকে ত্বকের নমনীয়তা। তাই চল্লিশেও ত্বকের জৌলুস বজায় রাখতে ঘুমের সঙ্গে আপোস করবেন না। ঘুম কম হলেই চোখের আশেপাশে ডার্ক সার্কেল এবং চামড়া কুঁচকে যাওয়ার মতো সমস্যার সৃষ্টি হয়। দেখতেও আরও বয়স্ক দেখায়। তাই দিনে অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমোতে হবে। এর ফলে ত্বকের পাশাপাশি মস্তিষ্কও আরাম পায়।
- প্রচুর পরিমাণে জল খান। জল শরীরকে হাইড্রেট রাখে এবং এর ফলে ত্বকের নিজস্ব আর্দ্রতা বজায় থাকে। এটা ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়িয়ে তোলে। এর ফলে চামড়ার কুঁচকে যাওয়ার প্রতিরোধ করে।
- শরীরকে সক্রিয় করে তুলুন। এর জন্য নিয়মিত শরীরচর্চা করতে পারেন। মেডিটেশন, যোগাসন করুন। মহিলাদের জন্য স্ট্রেচিং ও জগিং করার একান্ত প্রয়োজনীয়।
- অনেকেই চা, কফি ও মদে আশক্ত হন। মাত্রাতিরিক্ত ক্যাফেন ও অ্যালকোহল শরীরের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। শরীর ডিহাইড্রেট করে দেয় এতে ত্বকের আর্দ্রতা নষ্ট হয় এর ফলে ত্বকে বয়সের ছাপ ফুটে ওঠে। তাই এই সব পানীয়র আশক্তি না থাকাই ভাল। এগুলি পরিমিত মাত্রায় খাওয়াই ভাল আর সম্ভব হলে এড়িয়ে যাওয়া ভাল।
- নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় প্রচুর মাত্রায় শাক, সবজি ও ফল রাখুন। এর ফলে আমাদের শরীরে ভিটামিন ও অন্যান্য প্রাকৃতিক খনিজ উপাদানের অভাব সৃষ্টি হয় না। আর তাই ত্বকের স্বাস্থ্যও থাকে দারুন ভাল।
- বাড়ির বাইরে গেলে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। এমনকি ঘরের ভেতরেও ত্বক ভাল রাখতে সানস্ক্রিন লাগান।
- বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুল পাকতে শুরু করে এ ক্ষেত্রে চুল রঙ করতে প্রাকৃতিক উপকরণ কিংবা হেনা বা মেহেন্দি ছিল।
- যথাসম্ভব বাজার থেকে কেনা কড়া রাসায়নিক যু্ক্ত সামগ্রী কম ব্যবহার করুন। নিত্যদিনের রুটিনে এই সব সামগ্রী রাখবেন না। মেকআপ করলে রাতে মেকআপ ভাল করে পরিষ্কার করে ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে তবে ঘুমোতে যাবেন।
নিত্যদিনের রূপচর্চায় এই সস বিষয়গুলো মেনে চললে চল্লিশের কোঠায় পৌঁছে কুড়ির লাবণ্য ধরে রাখতে পারবেন।bs