এগিয়ে চলার মানসিকতার ফলেই সব সময় গতিময় জনজীবন। একের পর এক চাওয়া-পাওয়ার ব্যস্ততায় সময় কোথায় শরীরের প্রতি নজর দেয়ার! আর এ কারণেই সমস্যা জমতে জমতে কখন যে রোগের পাহাড় তৈরি হয়ে যায়, বুঝেই ওঠা যায় না। যার ফল হয়ে আসতে পারে বিপজ্জনক রোগ- স্ট্রোক।
স্ট্রোকের ক্ষেত্রে এখন নির্দিষ্ট কোনো বয়স নেই। ৬০ বছরের বৃদ্ধেরও হতে পারে, আবার ২৫ বছরের যুবক-যুবতীরও হতে পারে এই রোগ। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ অথবা আঞ্চলিকভাবে রক্ত চলাচল বন্ধ হওয়া- সাধারণত এই দুই অবস্থাকে স্ট্রোকের আওতায় ফেলা হয়।
এই রোগের শুরুতেই যদি এর সমস্যার লক্ষণগুলো চিহ্নিত করা সম্ভব হয়, তবেই স্ট্রোক চিকিৎসার ক্ষেত্রে সুবিধা হয়।
চলুন দেখে নেয়া যাক, এই রোগের লক্ষণগুলো-
স্ট্রোকের প্রভাবে শরীরের একাংশ দুর্বল হতে শুরু করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অঙ্গ-প্রতঙ্গ অসাড় হতে থাকে।
স্ট্রোক হলে তার প্রভাবে কথা জড়িয়ে যেতে পারে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে পায়ের জোরও কমতে থাকে।
শারীরিক ভারসাম্যের সমস্যা হতে পারে। এর প্রভাবে হাঁটা-চলায় সমস্যা হতে পারে। এই সময় পড়ে যাওয়ার ফল আরও খারাপ হতে পারে।
স্ট্রোকের প্রভাবে অসম্ভব মাথা যন্ত্রণা হতে পারে। অনেক সময় দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে আসে। সামনের সবকিছু যেন আবছা দেখতে লাগে।
এসব লক্ষণ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। চিকিৎসা শুরু করতে দেরি হলে সমস্যাও বৃদ্ধি পাবে দ্রুত। তাই আগে থাকতে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
সেই সঙ্গে শরীরের খেয়ালও রাখতে হবে। কারণ অনিয়মিত জীবনযাপন, বাড়তি ওজন ও রক্তচাপ স্ট্রোকের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। আর যে কোনো বয়সেই এই সমস্যা হতে পারে।