১৯ বছর বয়সী এক নারী নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে দৌড়াচ্ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি একটি হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে স্থান পান। তার নিউমোনিয়া কোনো সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধেই সারছিল না। এমন সমস্যায় একমাত্র তিনি পড়েননি। বহু মানুষেরই অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধে কোনো কাজ হচ্ছে না। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ কাজ না করার পেছনে ওষুধের অযাচিত ব্যবহার দায়ী। অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সেবন করেন। এছাড়া সঠিক মাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার না করা হলে তা ওষুধের কার্যকারিতা নষ্ট করার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।
১৯ বছর বয়সী সে নারীর সমস্যা সম্পর্কে ড. সুমিত রায় বলেন, ‘তিনি আইসিইউতে তিন মাস ধরে রয়েছেন। এর কারণ তাকে যে ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করেছে সেটি বিভিন্ন ওষুধের প্রতিরোধক্ষমতা সম্পন্ন।’ আর এ সমস্যা মোকাবেলায় তাকে বিভিন্ন ওষুধের সংমিশ্রণে পঞ্চম প্রজন্মের শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হয়।
একজন চিকিৎসক বলেন, অ্যান্টিবায়োটিক বিভিন্ন স্থানে অহরহ প্রয়োগ করা হয়। ছোট ছোট শহরে সামান্য কারণে রোগীদের অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। আর এতে জীবাণুগুলো ওষুধটির প্রতিরোধক্ষমতা অর্জন করে।
অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যক্ষমতা নষ্ট হওয়ার পেছনে ‘অতিরিক্ত ব্যবহার’ ও ‘ভুল ব্যবহার’ অত্যন্ত ক্ষতিকর ভূমিকা পালন করছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। সারা বিশ্বেই ওষুধটি অযাচিত ব্যবহারের কারণে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। গবেষকরা সম্প্রতি ভারতের যমুনা নদীর বিভিন্ন অঞ্চলের জলের নমুনা পরীক্ষা করে যে জীবাণুগুলো পেয়েছেন, সেগুলোরও উচ্চমাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিক সহনশীলতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন।
যখন স্বল্পমাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিকে কাজ হয় না তখন রোগীদের উচ্চমাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হয়। আর যত কড়া অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা হয় বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও তত বেশি হয়।bs