মোটরসাইকেল চালাচ্ছেন? সতর্ক থাকুন এসব বিষয়ে

শখ পূরণে কিংবা প্রয়োজনের তাগিদে অনেকেই মোটরসাইকেল চালান। তাইতো দিন দিন বাড়ছে এর জনপ্রিয়তাও। আজকাল পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও এই যানটি চালাতে বেশ আগ্রহী। যাতায়াতের সুবিধার্থে এটি খুবই উপকারী একটি যান।
কেউ কেউ সারাদিনই দীর্ঘ সময় ধরে মোটরসাইকেল চালান। তবে জানেন কি, অবৈজ্ঞানিক উপায়ে মোটরসাইকেল চালালে শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা ও মেরুদণ্ডে সমস্যা হতে পারে। এমনকি আপনি কর্মক্ষমতাও হারিয়ে ফেলতে পারেন। কাজেই মোটরসাইকেল চালানোর ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকা খুব প্রয়োজন। নইলে ঘটবে বিপদ! তাই চলুন জেনে নেয়া যাক সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে-

মোটরসাইকেল হতে হবে সামঞ্জস্যপূর্ণ

মোটরসাইকেল কেনার সময় এর বসার আসন, হ্যান্ডেলবার, পাদানি শরীরের সঙ্গে মানানসই কি-না বিবেচনা করে নিন। আপনার উচ্চতা ও শারীরিক গড়নের বিবেচনায় নিয়ে মোটরসাইকেলটি কিনুন।

সঠিকভাবে মোটরসাইকেল চালান

ধীরে সুস্থে মোটরসাইকেল চালাবেন। অবশ্যই হেলমেট ব্যবহার করবেন।

বসার আদর্শ অবস্থান

মোটরসাইকেল চালানোর সময় অবশ্যই চালককে পিঠ সোজা রেখে বসতে হবে। কাঁধ দুটো পেছনের দিকে কিছুটা বাঁকানো এবং কোমরের সঙ্গে সামঞ্জস্য থাকতে হবে। ঘাড় এবং কাঁধ সামনে কুঁজো হয়ে থাকলে অস্বস্তি ও ব্যথা হয়।

পায়ের অবস্থান

গোড়ালি কোমর বরাবর অবস্থান করবে। অর্থাৎ দুই পা ফাঁক এবং ভাঁজ অবস্থায় সামনের দিকে থাকবে। পায়ের পাতার জন্য আলাদাভাবে সামনে-পেছনে কয়েকটি পাদানি থাকবে, যাতে ভ্রমণের সময় প্রয়োজনমতো পায়ের অবস্থান পরিবর্তন করা যায়। এ অবস্থান শরীরকে স্থির রাখতে সহায়তা করবে।

পিঠের অবস্থান

কোমরে বেল্ট ব্যবহার করুন এবং পিঠের ওপরের অংশ পেছনের দিকে একটু বাঁকা রাখুন।

সঠিক দেহভঙ্গির অনুশীলন

মোটরসাইকেল চালানোর আগে বাইকে বসা অবস্থায় বা তার পাশে হাঁটা অবস্থায় সঠিক দেহভঙ্গির অনুশীলন করে নিন। লক্ষ্য করুন, আপনি কুঁজো হয়ে বসছেন কি না, কোমরের অংশে চাপ অনুভূত হচ্ছে কি না।

বিশ্রাম

মোটরসাইকেল চালানোর সময় চিন্তামুক্ত ও প্রফুল্ল মন থাকতে হবে। সুযোগ পেলেই ট্রাফিক সিগন্যালে বা জ্যামে মাংসপেশিগুলো শিথিল ও সঞ্চালন করতে হবে। সে জন্য হাত, পা, ঘাড়ের কিছু আইস ব্রেকিং ব্যায়াম করা যেতে পারে।TS

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy