মস্তিষ্কে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিলে শুরু দিকে খুব একটা বোঝা যায় না। প্রথমে হালকা নাক ডাকার লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এরপর ধীরে ধীরে সেই সমস্যা বাড়তে থাকে। শ্বাসনালি সংকুচিত হয়ে হাওয়া চলাচলের রাস্তা যত সংকীর্ণ হতে থাকে, তত নাক ডাকা বাড়তে থাকে।
একসময় শ্বাসনালি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে বিশালমাত্রায় অক্সিজেন ঘাটতি দেখা দেয়। এ সময় রোগীর প্রচণ্ড নাক ডাকা হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় রোগী ঘুমের মধ্যে প্রচণ্ড ছটফট করতে থাকে। যা স্লিপ অ্যাপনিয়া হাইপোক্সিয়ার চরম পর্যায়। ব্রেনের সঙ্গে শরীরে অক্সিজেন লেভেলও তলানিতে এসে দাড়ায়। ফলস্বরূপ রোগীর সকালে ঘুম থেকে উঠে মাথাযন্ত্রণা, অর্ধসম্পন্ন ঘুমের ভাব, ঝিমুনি, কাজে অনীহা, বমিভাব, ক্লান্তির মতো উপসর্গ সারাদিন চলতে থাকে এবং শরীরের সমস্ত এনার্জি শেষ হয়ে যায়।
সমস্যা দীর্ঘায়িত হলে হার্ট অ্যাটাক, উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট ফেলিওর ও স্ট্রোক পর্যন্ত হতে পারে। মস্তিষ্কে অক্সিজেনের মাত্রা নামতে থাকলে অপারেশন জরুরি।