আমাদের দেশে পিরিয়ড নিয়েই অজস্র মিথ আর ভুল ধারণা প্রচলিত আছে – তার মধ্যে একটা হল ঋতুস্রাবের সময় নারী-পুরুষের মধ্যে দূরত্ব বজায় রাখাটা জরুরি। কিন্তু আর সব কিছুর মতো এ ধারণার পিছনেও কোনও সারবত্তা নেই, বরং অনেক মহিলাই মনে করেন যে পিরিয়ড চলাকালীন তাঁদের লিবিডো বা যৌন আকাঙ্ক্ষা তুঙ্গে পৌঁছয়। তাই আপনি ও আপনি সঙ্গী ব্যাপারটায় কতটা স্বচ্ছন্দ, সেটা বুঝে নেওয়া দরকার। পছন্দটা একেবারে আপনাদের ব্যক্তিগত। তবে এ কথা বলা যায় যে, ঋতুস্রাব প্রাকৃতিক লুব্রিক্যান্ট হিসেবে কাজ করে, তাই সঙ্গম নিঃসন্দেহে খুব আরামদায়ক হয়ে ওঠে।
অনেকেই মনে করেন, পিরিয়ড চলাকালীন যৌনতা একেবারেই নিরাপদ — তাতে সন্তান সম্ভাবনার আশঙ্কা থাকে না। এ ধারণা কিন্তু পুরোপুরি ঠিক নয়। এ কথা ঠিক যে প্রত্যেক নারীর ক্ষেত্রে ডিম্বাণু উৎপাদনের সময়টা আলাদা হয় এবং ওভুলেশনের তারিখটা সম্পর্কে একেবার নিশ্চিত হওয়াও যায় না। তার চেয়েও বড়ো কথা, পিরিয়ড চলাকালীন যদি অসুরক্ষিত যৌন সম্পর্কের আশ্রয় নেন, তা হলে সরাসরি বডি ফ্লুইডের সংস্পর্শে আসবেন এবং হেপাটাইটিস বা এইচআইভিসহ সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড অসুখের আশঙ্কা বাড়বে। তাই নিরাপদ যৌনতার কোনও বিকল্প নেই। যাঁরা ট্যাম্পন ব্যবহার করতে অভ্যস্ত, তাঁরা অবশ্যই ইন্টারকোর্সের আগে সেটি বের করে নেবেন – তা না হলে ট্যাম্পন এতটাই ভিতরে চলে যাবে যে বের করার জন্য ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া ছাড়া অন্য উপায় থাকবে না।
মনে রাখবেন, ঋতুস্রাব চলাকালীন যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার আগে বিছানার উপর বাড়তি একটি চাদর, তোয়ালে বা অয়েল ক্লথগোছের কিছু একটা বিছিয়ে নেওয়া জরুরি – তা না হলে কিন্তু পরে চাদর পরিষ্কার করতে গিয়ে আফসোস হবে!TS