রান্নার কাজ অনেকটাই সহজ করে দিয়েছে প্রেশার কুকার। যেসব খাবার সেদ্ধ হতে বেশি সময় লাগে সেসব দ্রুতই সেদ্ধ করে বাঁচিয়ে দিচ্ছে অনেকটা সময়। শুধু খাবার সেদ্ধ করাই না, প্রেশার কুকারে রান্না করা যায় অনেক ধরনের খাবার। প্রেশার কুকার সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় মাংস রান্নার ক্ষেত্রে। প্রেশার কুকার শুধু রান্নার একটি পাত্রই নয়, বরং এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে নিরাপত্তার বিষয়ও। তাই প্রেশার কুকার কেনার আগে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি-
মাপের দিকে খেয়াল রাখুন
প্রেশার কুকারে কিন্তু পাত্র ভর্তি করে রান্না করা যায় না। এক তৃতীয়াংশ ভর্তি করে রান্না করতে হয়। তাই প্রেশার কুকার কেনার ক্ষেত্রে এ বিষয় মাথায় রেখে কিনুন। বাড়িতে কতজনের জন্য রান্না করতে হয় তার ওপর ভিত্তি করে প্রেশার কুকারের আকৃতি নির্বাচন করুন। প্রয়োজনের তুলনায় ছোট প্রেশার কুকার কিনলে মুশকিলে পড়তে হবে।
পুরুত্ব ও ভার
অনেক সময় ভারী হাতল ব্যবহার করে প্রেশার কুকারকে মোটা বোঝানোর চেষ্টা করা হয়। তাই শুধু হাতল দেখে নয়, সঠিক পুরুত্বের জন্য মোটা অ্যালুমিনিয়াম বা পুরু স্টিলের তৈরি প্রেশার কুকার দেখে কিনুন। প্রেশার কুকার দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য ৩.২৫ মি.মি. পুরুত্বের প্রেশার কুকার দেখে কিনুন।
প্রেশার নির্দেশক দেখে কিনুন
প্রেশার কুকার কেনার আগে খেয়াল করুন তাতে প্রেশার ইন্ডিকেটর রয়েছে কি না। যদি না থাকে তবে অন্তত প্রেশার মার্কার বা পপ-আপ ইন্ডিকেটর থাকবে। বর্তমানে প্রেশার কুকারে এমন অনেক ধরনের সুবধি রয়েছে যেগুলো প্রেশার পরিমাপ করতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে প্রেশার দ্রুত কমানোর জন্য কোনো বাটন আছে কি না তা দেখে কিনুন।
ফ্লোট বা স্প্রিং ভালভ
কুকারের ভেতরে চাপ বেড়ে গেলে বাড়তি চাপ বের করার জন্য যে ছিপি উপরে উঠে শিস দেয়, তাকে বলা হয় স্প্রিং ভালভ। প্রেসার কুকারের এই পদ্ধতিতে আমরা ‘সিটি’ বলে থাকি। তবে এই সিটির আওয়াজ অনেকের কাছে বিরক্তির কারণ হতে পারে। এর সমাধানে নতুন ধরনের প্রেশার কুকারগুলোতে থাকে প্রেশার নিয়ন্ত্রণের কৌশল। এতে আওয়াজ কম হয় এবং শক্তিও কম খরচ হয়।
প্রেশার নিয়ন্ত্রক
আধুনিক অনেক প্রেশার কুকারে থাকে বাষ্পের চাপ নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি। তাই খাবারের ধরন অনুযায়ী বাষ্পের চাপ কম-বেশি করে নেওয়া যায় এ ধরনের প্রেশার কুকারে। এসব সুবিধা পেতে চাইলে প্রেশার কুকার কেনার আগে অবশ্যই এই বিষয়গুলো দিকে খেয়াল রাখবেন।bs