বেশির ভাগ সময়ই আমরা যখন ঘর সাজানোর কথা চিন্তা করি, তখন নান্দনিকতা, রুচিবোধ ও সৌন্দর্যকেই বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকি। এই পরিকল্পনা থেকেই মনের মতো করে নিজেদের অন্দরমহল সাজাই। কিন্তু মনোবিজ্ঞানী, বাস্তু ও রং বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যে রং আমরা ঘরের জন্য ব্যবহার করি, সেটা আমাদের মনের ওপর গভীর প্রভাব ফেলে। আমাদের আচরণ ও আবেগকে অনেকটাই পরিচালনা করে রং।
দেয়ালের রং আমাদের মনের ওপর কতটা প্রভাব ফেলে, সে সম্বন্ধে টাইমস অব ইন্ডিয়ায় কিছু দিক তুলে ধরা হয়েছে।
রং কর্মক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়
বাস্তু বিশেষজ্ঞ ড. স্নেহাল দেশপান্ডে মনে করেন, যদি আপনি আপনার কর্মক্ষমতাকে বাড়াতে চান, তাহলে আপনার অন্দরমহলকে হালকা রঙে সাজান। এ ক্ষেত্রে অফ হোয়াইট বা হালকা গোলাপি অথবা পিচ রং বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেন স্নেহাল। এ ছাড়া মেটালিক কালার, যেমন—হালকা সোনালি বা রুপালি রংকেও প্রাধান্য দিতে পারেন বলে মনে করেন তিনি। স্নেহাল আরো বলেন, যাঁরা সব সময় বিরক্ত থাকেন, তাঁরা মনের শান্তির জন্য সাদা ও সোনালি রং দিয়ে নিজের ঘর রাঙাতে পারেন।
রং মনকে শান্ত করে
ক্লিনিক্যাল সাইক্লোজিস্ট সীমা হিঙ্গোরানী বলেন, ‘আমার একজন বিষণ্ণ রোগী ছিলেন, যিনি শুধু তাঁর ঘরের রং বদলে নিজের বিষণ্ণতা থেকে কিছুটা মুক্তি পেয়েছিলেন। তাই বিষণ্ণতায় ভুগলে ঘরের দেয়ালে হালকা রং ব্যবহার করুন। এ ধরনের রং আমাদের মনের ওপর গভীর প্রভাব ফেলে এবং পুরোপুরিভাবে মনকে শান্ত রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।’
যেসব রং এড়িয়ে চলবেন
গাঢ় রং, যেমন—গাঢ় গোলাপি, গাঢ় বেগুনি, গাঢ় পিচ অথবা গাঢ় সবুজকে ঘরের ক্ষেত্রে এড়িয়ে চলুন। এমনকি ঘরের দেয়ালে ব্রাউন কালারও ব্যবহার করবেন না।
কিছু পরামর্শ
- যাঁদের ঘরে অযথা আগুন লাগে অথবা জ্বলন্ত বাল্ব ফেটে যায়, প্রেশারকুকার বিস্ফোরণ ঘটে, তাঁরা বাদামি ও গাঢ় নীল রঙের মিশ্রণে দেয়াল রাঙান। এতে দেয়ালের দাগ বোঝা যাবে না।
- যদি আপনার ঘরে খুব বেশি ঝগড়াঝাঁটি হয়, তাহলে ঘরের দেয়াল হালকা গোলাপি করুন এবং ঘরের মধ্যে গোলাপি ফুল রাখার চেষ্টা করুন। এ ছাড়া বেগুনি ও গোলাপি ফুলের মিশ্রণ রাখতে পারেন। দেখবেন, এ সমস্যা অনেকটা কমে যাবে।
- যদি আপনার রাগ অনেক বেশি থাকে, তাহলে ঘরে উজ্জ্বল রঙের পরিবর্তে হালকা রং প্রাধান্য দিন। অথবা সাদা রঙের কয়েকটি শেডও ব্যবহার করতে পারেন।