দুধ খেয়েও কি ওজন কমানো যায়! জানুন কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা

ডায়েটে দুধের গুরুত্ব অপরিসীম। এর মধ্যে রয়েছে প্রোটিন, ক্যালশিয়াম। কিন্তু ওজন কমানোর সময়ে কি ডায়েটে দুধ রাখা ঠিক! যাঁরা মেদ ঝরানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন, তাঁরা এই প্রশ্ন প্রায়ই করে থাকেন।

প্রথমত দুধের মধ্য়ে ক্যালশিয়াম থাকে, যা দাঁত ও হাড়কে ভালো রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়ায় শরীরের টিশ্যুকে সুস্থ সবল রাখতে সাহায্য করে। এক কাপ দুধে ১৫০ ক্যালরি থাকে কারণ এতে ল্যাকটোজ থাকে।বাজারে যে ফ্লেভারড মিল্ক কিনতে পাওয়া যায়, তাতে ক্যালরির পরিমাণ আরও বেশি থাকে কারণ এতে অ্যাডেড সুগার থাকে।

১) দুধে প্রোটিন প্রচুর পরিমাণে থাকার কারণে ওজন কমানোরর জন্য দুধ ডায়েটে রাখতে পারেন। খিদের হরমোনকে অনেকটাই চালনা করে দুধ। স্যাটায়েটি হরমোন নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয় দুধ। এই হরমোন বেশি পরিমাণে নিঃসৃত হলে খিদে কম হয়। ফলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়।

২) ক্যালশিয়াম ও ভিটামিন ডি থাকে যার ফলে হাড় শক্ত থাকে। কিন্তু ভিটামিন ডি ও ক্যালশিয়াম শরীরে ক্যালরি বার্ন করতেও সাহায্য। তাই ওজন কমানোর সময়ে খেতেই পারেন এক কাপ করে দুধ।

৩) ভিটামিন বি৩-ও থাকে দুধে। ভিটামিন বি-৩ শক্তির জোগান দিয়ে এনার্জি লেভেলকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই ওজন কমানোর সময়ে রোজ এক কাপ দুধ খেয়ে শক্তিশালী থাকুন।

৪) দুধ শরীরে লায়নোলিক অ্যাসিড তৈরি করে। এই অ্যাসিড শরীরে ফ্যাট বার্ন করতে সাহায্য করে।

৫) এছাড়া পেশী ও হাড়কে শক্ত সবল রেখে শরীরকে সারাদিন সতেজ রাখতে সাহায্য করে দুধ। তাই রোজ এক কাপ করে দুধ খান।

কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে দুধ ওজন বাড়িয়েও দিতে পারে। দুধের সঙ্গে যখন অতিরিক্ত ক্যালরি যুক্ত খাবার ডায়েটে রাখেন, তখনও ওজন বাড়তে পারে। বা দুধ থেকে তৈরি শেক বা অতিরিক্ত চিনি ফ্লেভারড দুধ খেলেও ওজন বেড়ে যেতে পারে। bs

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy