ব্যস্ত জীবনের কিছুটা স্বস্তির ভাগিদার বোধহয় ফ্রিজ। এটি ব্যস্ত জীবনের এক আশীর্বাদ বলা চলে। রান্না করা খাবার যেমন সংরক্ষণ করা যায় দীর্ঘদিন। তেমনি কাঁচা সবজি বা মাছও বেশ অনেকদিন ভালো থাকে ফ্রিজে।
ফ্রিজে খাবার সংরক্ষণের কারণে অনেক খাবার নষ্ট হওয়ার হাত থেকে বেঁচে যায়। সেই সঙ্গে বেঁচে যায় অনেকটা সময়ও। কারণ খাবার ফ্রিজে না রাখলে তখন বারবার গরম করে রাখতে হয়। তাতে সময় নষ্ট হয় অনেকখানি।
নিঃসন্দেহে ফ্রিজে খাবার রাখার অনেক ভালো দিক আছে। তবে বেশিরভাগ সময় রান্না করা খাবার ফ্রিজে রাখলে এর স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। আবার ফ্রিজে রাখা খাবার থেকে এক ধরনের গন্ধ পান। তাহলে জেনে নিন কীভাবে খাবার সংরক্ষন করলে খাবারের স্বাদ গন্ধ অটুট থাকবে-
> রান্না করা খাবার বক্সে রাখুন। একেক পদ আলাদা আলাদা বক্সে সংরক্ষণ করুন।
> চেষ্টা করবেন যে বক্স বের করছেন তা খেয়ে ফেলতে। এজন্য একবারে খেতে পারেন এমন পরিমাণে খাবার এক বক্সে রাখুন।
> ফ্রিজের নরমালে খাবার সংরক্ষণ করুন। এক সপ্তাহের মধ্যে সব খাবার খেয়ে শেষ করুন।
> কোনো খাবার ফ্রিজের গায়ে লাগিয়ে রাখবেন না, কোনো রকম ফল শাকসবজি একেবারেই রাখবেন না। যদি অনেকদিন ভালো রাখতে চান তাহলে একদম এয়ারটাইট পাত্রে ভরে ফ্রিজে রাখবেন।
> মজার একটা ব্যাপার হলো, চানাচুর, গুঁড়া দুধ ফ্রিজে রাখলে তা অনেকদিন মুচমুচে এবং ভালো থাকে। এর জন্য এটিকে প্লাস্টিকের পাত্রে সংরক্ষণ করতে হবে।
> ফ্রিজে যাই রাখুন না কেন, এয়ারটাইট পাত্রে ভরে রাখবেন। মাঝেমধ্যে পাত্র সোডা ও জল দিয়ে পরিষ্কার করবেন।
> একটি কাটা লেবু সবসময় ফ্রিজে রেখে দেয়ার চেষ্টা করবেন। এর ফলে কোনো দুর্গন্ধ ছড়াবে না। তবে একই লেবু অনেকদিন রাখবেন না। কয়েক দিন পরপর লেবু বদলে দিন।
> বেশি মাছ রাখলে তা অবশ্যই লবণ জল দিয়ে ধুয়ে রাখবেন। এতে করে ফ্রিজের ভেতর দুর্গন্ধ ছড়াবে না।
> যদি কাটা কোনো সবজি রাখতে হয় তাহলে একটি কনটেইনারের কিছুটা লবণ দিয়ে এয়ারটাইট ভাবে রাখবেন।
> ডিম রাখতে হলে ডিম রাখার ট্রেতে না রেখে একটি বাটিতে করে ভিতরে রাখবেন।
> ফল রাখার থাকলে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু কেটে বাকিগুলো আস্ত রাখার চেষ্টা করবেন।bs