সৌন্দর্য সবারই কাম্য। তবে দেহের বাড়তি মেদ আপনার সৌন্দর্যে বড় বাধা সৃষ্টি করে। আবার যদি শরীরের সঙ্গে সঙ্গে মুখের মেদও বাড়তে থাকে তবে তা দেখতে খুবই বাজে লাগে। ফোলা গাল, থুতনির নিচের চর্বি মুখের সৌন্দর্য খুব সহজেই নষ্ট করে। যা মাঝে মাঝে আপনাকে সবার সামনে খুব বিব্রতকর পরিস্থিতে ফেলে দেয়।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি প্রতিবেদনে এই বিষয়ে বলা হয় যে, মুখের মেদ মূলত ত্বকের নিচে জমে থাকা বাড়তি ফ্যাটি টিস্যুর পরত। সময়ের সঙ্গে ত্বকের কোষকলা এবং ত্বক সংকোচন-প্রসারণ ক্ষমতা হারায় তখন এই কোষগুলো চোয়াল ও ঘাড়ের চারপাশে ঝুলে পড়ে।
শরীরিচর্চা বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে ‘ডাবল চিন’ বা মুখের মেদ কমানোর কিছু ব্যায়ামের কথা উল্লেখ করা হয়। প্রতিদিন মাত্র কয়েক মিনিট সময় নিয়ে কয়েকটি ব্যায়াম করলেই মুক্তি মিলবে ডাবল চিন থেকে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক মুখের মেদ কমানোর ব্যায়ামগুলো সম্পর্কে-
মাথা বাঁকানো
মেরুদণ্ড সোজা রেখে মাথা যতটা সম্ভব পেছনে এলিয়ে রাখুন, যতক্ষণ না চোয়ালে টান অনুভব করছেন। ১০ সেকেন্ড এই অবস্থা ধরে রাখতে হবে।
ঘাড় ঘুরানো
কাজের ফাঁকে চোয়াল উপরের দিকে উঠিয়ে, মেরুদণ্ড টান-টান অবস্থায় রেখে, ঘড়ির কাঁটার দিকে এবং বিপরীত দিকে ঘাড় ঘুরাতে পারেন। কিছুক্ষণ বিরতি দিয়ে ১০ বার ব্যায়ামটি করার মাধ্যমে গলা, ঘাড় ও কাঁধের মাংসপেশিতে আরাম মিলবে।
জিহ্বায় চাপ দেয়া
পিঠ সোজা করে, ঘাড় পেছনে এলিয়ে দিয়ে বসে উপরের তালুতে জিহ্বা দিয়ে জোরে চাপ দিন। এই অবস্থা ধরে রেখে বুকের সঙ্গে চিবুক লাগানোর চেষ্টা করুন। এরপর জিহ্বায় চাপ ছেড়ে দিয়ে আগের অবস্থায় ফিরে যান। এভাবে ২০ বারের দুটি সেট করতে হবে।
জিহ্বা বের করে রাখা
ভালোভাবে শুয়ে বা বসে থাকা অবস্থায় যতটা সম্ভব বড় হা করুন এবং জিহ্বা যতটা সম্ভব বের করার চেষ্টা করুন। জিহ্বা টান-টান অবস্থায় যখন নিজের চিবুক এবং ঘাড় অনুভব করতে পারবেন ততক্ষণ পর্যন্ত জিহ্বা বের করতে হবে। ১০ গোনা পর্যন্ত জিহ্বা বের করে রাখুন। প্রতিদিন দুই সেট এই ব্যায়ামটি করতে হবে।
চিবুক ওপরে
প্রথম চোয়ালের মাংসপেশি টান-টান করতে চিবুক উপরের দিকে উঠিয়ে কিছুক্ষণ ধরে রাখতে হবে। এরপর মেরুদণ্ড সোজা করে বসা এবং দাঁড়ানোর মাধ্যমে ব্যায়াম শুরু করতে হবে।
এরপর ঘাড় পেছনের দিকে এলিয়ে ছাদের দিকে মুখ করে এবং চোয়াল যতটা সম্ভব সামনের দিকে বাড়িয়ে দিন। পাঁচ গোনা পর্যন্ত ধরে রেখে চোয়াল ছেড়ে দিন। এভাবে একটানা দশবার করতে হবে।