গরম পড়তেই শারীরিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই। হজমজনিত সমস্যা থেকে শুরু করে পেটের গোলমাল বেড়েছে সবার মধ্যেই। এমনকি ডায়রিয়ার প্রকোপও অনেকে বেড়েছে। আর পেটের নানাবিধ সমস্যা থেকেই জন্ম নেয় জন্ডিসের মতো রোগ।
চিকিৎসকদের মতে, মূলত খাদ্য ও পানীয় থেকেই এ রোগের জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে। রক্তে হলুদ রঙের পিত্ত বিলিরুবিন বেড়ে গেলে জন্ডিস দেখা দেয়। বিলিরুবিন শরীরের স্বাভাবিক রক্তচলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করে।
জন্ডিস যদিও কোনো অসুখ নয়, এটি আসলে একটি অবস্থার নাম। অসুখটি মূলত হেপাটাইটিস। এর ভাইরাস সরাসরি লিভারকে আক্রমণ করে। এর লক্ষণও অনেক সময়ে খুব সহজে ধরা পড়ে না।
এমনকি বেশি জল খেলেও লক্ষণ প্রকাশ পায় না। আর দীর্ঘদিন জন্ডিসে ভুগলে তা লিভার নষ্টও করে দিতে পারে। তাই কয়েকটি জন্ডিসের কয়েকটি দেখেই প্রাথমিক অবস্থায় সতর্ক হন। তাহলে দ্রুত সারিয়ে তোলা সম্ভব।
জন্ডিস সাধারণত ৩ প্রকার হয়- ১) প্রিহেপাটিক জন্ডিস; ২) হেপাটোসেলুলার জন্ডিস ও ৩) পোস্ট হেপাটিক জন্ডিস বা অবস্ট্রাকটিভ জন্ডিস।
কীভাবে বুঝবেন আপনি জন্ডিসে আক্রান্ত কি না?
>> লিভারে কোনো সমস্যা দেখা দিলে ওজন কমতে শুরু করে। আর জন্ডিসও সরাসরি লিভারে আঘাত হানে। হজম প্রক্রিয়ায় অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে যকৃৎ বা লিভার।
শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো লিভার। এটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে খিদে কমে যায়। খাওয়া-দাওয়ায় অনীহা জন্ম নেয় ও ধীরে ধীরে ওজন কমতে থাকে।
>> জন্ডসের অন্যতম লক্ষণ হলো ত্বক ও চোখ হলুদ হয়ে যাওয়া। লিভারে হলুদ রঙের পিত্ত জমে থাকার ফলে ত্বক ও চোখ হলুদ বর্ণ ধারণ করে। এর ফলে পিত্ত পিত্তনালিতেও প্রদাহের সৃষ্টি হয়। ফলে পেটে প্রায়ই জ্বালাপোড়া ভাব হয়।
>> জন্ডিস হলে মাঝে মধ্যেই পেটে ব্যথা হয়। বিশেষ করে পাঁজরের নীচের ডান দিকে সব সময়ই ব্যথা হয়। এর সঙ্গে বমি ভাবও থাকে।
এমন লক্ষণ দেখা দিলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। দেরি হলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে।TS