তেলে চুল কাঁচা— এই বাক্যটি শুনেছেন নিশ্চয়ই। চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি কিংবা পর্যাপ্ত পুষ্টি জোগাতে তেলের গুরুত্ব অনেক। নিয়মিত তেল ব্যবহার করলে মাথার ত্বককে ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য সংক্রমণ থেকে দূরে রাখা যায়। কিন্তু চুলে তেল ব্যবহারের পর বেশিরভাগ নারীই এমন কিছু কাজ করে যা উপকারের চেয়ে ক্ষতি করে বেশি।
অতিরিক্ত তেল দেওয়া
তেল দেওয়া ভালো তবে তা যেন অতিরিক্ত না হয়। অনেকেই ভাবেন, বেশি তেল দিলে চুলে বেশি পুষ্টি মেলে। এই ধারণাটি কিন্তু ঠিক নয়। বরং বেশি তেল মাখলে তা পরিষ্কার করতে বেশি শ্যাম্পুও খরচ হবে। অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করলে চুলের আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে চুল হয়ে পড়ে শ্রীহীন। তাই চুলে পরিমাণমতো তেল ব্যবহার করুন।
তেল দিয়ে চুল আঁচড়ানো
অনেকেই তেল দিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই চুল আঁচড়ান। মাথার ত্বকে ঘষে ঘষে তেল মাখার সময় ম্যাসেজের কাজ হয়ে যায়। এ সময় মাথার ত্বকের রোমছিদ্রগুলো খোলা থাকে আর চুলও ভীষণ ভঙ্গুর অবস্থায় থাকে। তেল মাখার পর পরই চুল আঁচড়ালে চুল ভেঙে কিংবা ঝরে যেতে পারে।
তেল মেখে সারারাত থাকা
বেশিরভাগ মানুষই রাতে ঘুমানোর আগে চুলে তেল মাখেন এবং সকালে শ্যাম্পু করেন। কিন্তু সারারাত চুলে তেল লেগে থাকলে তা মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক তেলের সঙ্গে মিশে যায় এবং চুল আরও বেশি তৈলাক্ত হয়ে ওঠে। যার ফলে ধুলোময়লাও জমে বেশি। মাথায় ঘণ্টাখানেকের বেশি তেল রাখবেন না।
চুল বেঁধে রাখা
তেল দেওয়ার পর চুল কিছুটা দুর্বল ভঙ্গুর অবস্থায় থাকে। এই অবস্থায় চুল বেঁধে রাখলে গোড়ায় বেশি টান পড়ে এবং সহজেই চুল উঠে আসতে পারে। তাই তেল দেওয়ার পর চুল বেঁধে না রেখে ছেড়ে রাখুন।
তেল দিয়েই চুল ধুয়ে ফেলা
চুলে পর্যাপ্ত পুষ্টি জোগাতে তেল দেওয়ার পর অন্তত ঘণ্টাখানেক রাখা দরকার। কারণ তেল দেওয়ার পরপরই যদি চুল ধুয়ে ফেলেন তবে তেলের পুষ্টি চুল পাবে না।
অতিরিক্ত ম্যাসেজ
তেল দেওয়ার পর চুল ম্যাসেজ করলে ভালো লাগাটাই স্বাভাবিক। তবে অতিরিক্ত ম্যাসেজ হতে পারে ক্ষতির কারণ। এতে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তাই দশ পনেরো মিনিটের বেশি সময় ম্যাসেজ করবেন না।
চুলের যত্নে অবশ্যই তেল ব্যবহার করা উচিত। তবে তেল দেওয়ার পর এই কাজগুলো করবেন না। এতে চুলের ক্ষতি হবে।bs