ভালোবাসার প্রতীক হিসেবেই ধরা হয় চুম্বনকে। যাদের আমরা পছন্দ করি এবং ভালোবাসি সকলেই ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে চুম্বন এঁকে দিই কপালে, গালে এবং ঠোঁটে। চুম্বনের অনেক উপকারিতা রয়েছে তা আমরা সকলেই জানি। বিশেষ করে ঠোঁট চুম্বনের মাধ্যমে ওজন কমানোর মতো তথ্যও পাওয়া গিয়েছে।
কিন্তু আপনি জানেন কি, চুম্বনের রয়েছে অনেক বড় অপকারিতা? চুম্বনের মাধ্যমে পরস্পরের মধ্যে ছড়াতে পারে ৭ টি মারাত্মক রোগ। অবাক হচ্ছেন? চলুন তবে জেনে নিই বিস্তারিত।
১) মোনো নামক একধনের চুম্বনের ফলে সংক্রমিত রোগ রয়েছে যা এই চুম্বনের মাধ্যমেই ছড়িয়ে থাকে। এই রোগের ফলে আপনি অসুস্থ থাকতে পারেন প্রায় ৬ সপ্তাহ। আবেগের বশবর্তী হয়ে অনেকেই গভীরভাবে চুম্বন করে ফেলেন সঙ্গীকে।কিন্তু জেনে রাখুন, এই ধরণের চুম্বনের ফলে যে মোনো নামক রোগটি হয় তা প্রাণঘাতী রোগ ‘মেনিনজাইটিস’এর সমতুল্য।
২) ঠাণ্ডা, সর্দি-কাশি একজনের দেহ হতে অন্য জনের দেহে ছড়িয়ে যায় চুম্বনের ফলে।
৩) যে জিনিসটিকে আমরা ‘জ্বর ঠোসা’ বলে জানি অর্থাৎ জ্বর, সর্দির কারণে ঠোঁটের কিনারায় যে ফোসকার মতো সৃষ্টি হয় তা চুম্বনের মাধ্যমে অন্য আরেকজনের দেহে ছড়িয়ে পরতে পারে। এমনকি এই জ্বর ঠোসা ভালো হয়ে যাওয়ার ৩/৪ দিন পরও ছড়াতে পারে।
৪) ছোঁয়াচে যে কোনো রোগের সংক্রমণ ঘটতে পারে চুম্বনের ফলে। কারণ একজন আক্রান্ত ব্যক্তির সালিভা অন্য আরেকজনের সংস্পর্শে এলে সুস্থ ব্যক্তিটির আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
৫) মুখের ভেতরের ইনফেকশনজনিত যে কোনো রোগ, ফোসকা, ওয়ার্ট ইত্যাদি একজনের থেকে অন্যজনের মধ্যে ছড়াতে পারে চুম্বনের ফলে।
৬) দাঁত ক্ষয়ের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া। এই ব্যাকটেরিয়া চুম্বনের মাধ্যমে একজনের মুখ থেকে অন্যের মুখে খুব সহজেই ছড়িয়ে যায়।
৭) যারা হেপাটাইটিস রোগে আক্রান্ত তাদের চুম্বনের মাধ্যমে অন্যের মুখে যে সালিভা প্রবেশ করে তার ফলে সুস্থ ব্যক্তিরও হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।bs