গরমের সময় দই অনেক বেশি খাওয়া হয়। এটি শরীর ঠাণ্ডা রাখে। দইতে ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিনের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি থাকে, যেটি গর্ভাবস্থার জন্য চমৎকার। তাই, গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রেও দই একটি স্বাস্থ্যকর খাবার।
তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক, গর্ভাবস্থায় দই খেলে স্বাস্থ্যের কী কী উপকার হয়।
> দইতে ভালো ব্যাকটিরিয়া থাকে, যা অন্ত্র সুস্থ রাখে এবং খাবার হজমে সহায়তা করে। এটি পাচনতন্ত্র-কে পুষ্টি শোষণ করতেও সহায়তা করে। এতে প্রোবায়োটিক ব্যাকটিরিয়া রয়েছে, যা ভালো হজমের সহায়ক।
> দইতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে, যা আপনার প্রতিদিনের ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করতে পারে। ভ্রূণের হাড় এবং দাঁত বিকাশের জন্য ক্যালসিয়াম প্রয়োজনীয়।
> গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি থাকে, যা মা এবং শিশু উভয়কেই প্রভাবিত করে। দই রক্তচাপকে হ্রাস করে এবং কোলেস্টেরলের স্তরও কম হয়।
>দইয়ে ভালো ব্যাকটেরিয়া থাকার কারণে এটি পেটের সমস্যা এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
> পেশীর জন্যও খুব উপকারি দই। এটি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য, যা মাংস পেশীর বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পেশীর সংকোচনে ক্যালসিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, আর এই কারণে দই পেশীর স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
> গর্ভাবস্থায় ঘন ঘন মুড পরিবর্তন হয়। প্রেগনেন্সির সময় উদ্বেগ এবং স্ট্রেস বেশি হয়। দই খেলে মন শান্ত হয়।
> গর্ভাবস্থায় হরমোনগত পরিবর্তন এবং ভারসাম্যহীনতার কারণে ত্বকের অনেক পরিবর্তন দেখা দেয়। দইতে ভিটামিন ই রয়েছে, যা ত্বককে স্বাস্থ্যকর রাখে এবং পিগমেন্টেশনও প্রতিরোধ করতে পারে।
> গর্ভাবস্থায় ওজন বৃদ্ধি এড়াতে চাইলে দই খান। এটি স্ট্রেস হরমোন কার্টিসল বাড়তে বাধা দেয়, যার ফলে অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি রোধ হয়।