গরমে বাইরে থেকে ফিরেই সবার আগে ফ্রিজে ঠান্ডা জল খোঁজেন? গরমের তীব্রতায় ঠান্ডা জল পানের তৃষ্ণা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু গরমে ঠান্ডা জল পান করা কি আসলেই উপকারী? গরমে ঠান্ডা জল পান করার মাধ্যমে শরীরের কিছু ক্ষতি ডেকে আনছেন আপনি নিজেই। কারণ ঠান্ডা জল খেলে তা সাময়িক আরাম দিলেও কারণ হতে পারে দীর্ঘকালীন ক্ষতির।
পরিপাকতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়
বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে, ঠান্ডা জল পানের রয়েছে অনেকগুলো অসুবিধা। এই জল পান করলে তা প্রভাবিত করতে পারে আপনার পরিপাকতন্ত্রকে। খেয়াল করে দেখবেন যে, আপনি যখন হালকা গরম জল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করেন তখন আপনার ত্বকের ছিদ্র খুলে গিয়ে ত্বক আলগা হয়ে যায়। এদিকে ঠান্ডা জলে মুখ পরিষ্কার করলে মুখের ত্বক টানটান হয়ে যায়। তাই ঠান্ডা জল পান করলে পরিপাকতন্ত্রে কী সমস্যা হয়, বুঝতেই পারছেন।
হৃদস্পন্দন কমিয়ে দেয়
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঠান্ডা জল পান করলে তা হৃদস্পন্দন কমিয়ে দিতে পারে। তাইওয়ানের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, ঠান্ডা জল পান করা হার্টের জন্য ক্ষতিকর। তাই বিপদ থেকে বাঁচতে ঠান্ডা জল পানের পরিমাণ কমিয়ে আনতে হবে। যাদের আগে থেকেই হার্টের সমস্যা রয়েছে, তারা ঠান্ডা জল পুরোপুরি এড়িয়ে চলবেন।
কোষ্ঠকাঠিন্যের ভয়
ভালো হজম কিংবা পেট পরিষ্কার না হলে শরীরে অসুখ বাসা বাধতে সময় নেয় না। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে নানা সমস্যা শুরু হয়ে যায় আমাদের শরীরে। আর কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে ঠান্ডা জল। কারণ অতিরিক্ত ঠান্ডা জল পান করলে যেকোনো খাবার হজম করা শরীরের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। এমন অবস্থায় বেড়ে যায় কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি।
মাথাব্যথা
আপনার মাথাব্যথাকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে ঠান্ডা জল পানের অভ্যাস। বরফ মুখে দিলে দেখবেন খাওয়ার সময় কপালে চিনচিনে ব্যথা বোধ করছেন। একইভাবে ঠান্ডা জল পান করলে তাও আপনার মাথাব্যথার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। ঠান্ডা জল আমাদের সংবেদনশীল স্নায়ুগুলোকে ঠান্ডা করে এবং দ্রুত মাথায় বার্তা পাঠায়। যে কারণে শুরু হয় মাথাব্যথা।bs