লাল চকচকে আপেল। দেখলেই লোভে খেতে ইচ্ছে করবে। কিন্তু এই লোভনীয় রঙের মধ্যেই রয়েছে ক্ষতিকর রাসায়নিক। যা শরীরের পক্ষে মারাত্মক। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন দীর্ঘদিন এই ধরণের রাসায়নিক শরীরে প্রবেশ করলে অন্ত্রে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এমনকি কোলন ক্যান্সারও হতে পারে।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ অরিন্দম বিশ্বাস জানিয়েছেন, আপেলের গায়ে প্রাকৃতিকভাবে মোম জাতীয় এক রকম পদার্থ সৃষ্টি হয় কিন্তু তা বেশিদিন স্থায়ী হয় না। স্থায়িত্বের জন্য কৃত্রিম মোম মাখানো হয়। যাতে আর্দ্রতা না ঢুকতে পারে এবং বেশিদিন চকচকে তাজা থাকে। সাধারণত সেল্যাক, কারনৌবা, পোট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহৃত হয়।
এগুলি শরীরে প্রবেশ করলে মূলত হজমের সিস্টেমটাই নষ্ট হয়ে যায়। পেট খারাপ, ডায়েরিয়া হয়। বৃহদান্ত্র, ক্ষুদ্রান্ত্রের ওপর যে আস্তরণ থাকে তাতে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। দীর্ঘদিন শরীরে ঢুকলে কোলন ক্যান্সার হওয়ারও আশঙ্কা থাকে।
গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ডাঃ বিপিএন কৌশিক বলেন, মোম বা প্যারাফিন পালিশ করা ফল যেমন আপেল, পেয়ারা খেলে পাতলা পায়খানা, বমি, পেটে ব্যথা হয়। অন্ত্রে আস্তরণ জমে যায়। খাদ্য খেলে ক্ষুদ্রান্ত্রের মধ্যে শোষিত না হয়ে হজমের বড়সড় গোলযোগ হয়। এমনকি ঝুঁকি থাকে কোলন ক্যান্সারেরও।
কী ক্ষতি:
➲ কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি
➲ পাকস্থলীর ক্ষতি
➲ হজমের সমস্যা
➲ অন্ত্রে মোম জমে ক্ষতি
➲ লিভারের বড় অসুখের শঙ্কা
➲ প্যারাফিন জমলে মলদ্বারে সমস্যা
➲ ক্ষুদ্রান্ত্রে, বৃহদন্ত্রে প্যারাফিন জমে বিষক্রিয়া
➲ পেটে অ্যালার্জি, ডায়েরিয়া
➲ শ্বাসকষ্ট
➲ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর
তবে খোসা ছাড়িয়ে খেলে এসব ঝুঁকি থেকে মুক্তি মিলবে।bs