কান ফোঁড়ানোর আগে যেমন প্রস্তুতির বিষয় আছে, পরেও তেমনি যত্ন নেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। একটু অসাবধানতায় কানের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে…
নিশ্চিত করুন পরিচ্ছন্নতা
ঘর, পারলার কিংবা চিকিৎসক, যেখানেই কান ফোঁড়ানো হোক না কেন, পরিচ্ছন্নতাটা নিজেদেরই নিশ্চিত করতে হবে। কান ফোঁড়ানোর আগে কান ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। বাড়িতে কান ফোঁড়ানো হলে সুচটি আগুনে পুড়িয়ে জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে। কান ফোঁড়ানোর পর প্রতিদিন ফোঁড়ানোর জায়গাটি দেখতে হবে এবং যত্ন নিতে হবে।
মানসিকভাবে প্রস্তুত হলে তবেই শিশুর কান ফোঁড়ান।
অনেক সময় শিশুরা নির্দিষ্ট স্থানটি দেখতে দিতে চায় না, ভয় পায়। তাদের বুঝিয়ে নিয়ে প্রতিদিন নরম কাপড়ের গরম ভাপ দেওয়া আবশ্যক। গোসলের আগে গরম জল দিয়ে জায়গাটি পরিষ্কার করে নিন। শর্ষের তেলে দুই টুকরা রসুন ছেড়ে একটু গরম করে নিন। এ তেল তুলায় ভিজিয়ে ফোঁড়ানো স্থানে দেওয়া যেতে পারে। এতে ব্যথা কমে যাবে। ঘুমানোর সময় নরম বালিশ দিতে হবে।
কান ফোঁড়ানোর পর সাবধানতা
ঢাকা শিশু হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. লুনা পারভীন জানালেন, কান ফোঁড়ানোর নির্দিষ্ট বয়স নেই। কিন্তু কান ফোঁড়ানো উচিত এমন বয়সে, যখন শিশু নিজে বিষয়টি সামলাতে পারবে। তা না হলে কানের দুল ধরে টানাটানি করে বা হাতের ঘষায় ঘা তৈরি করে ফেলতে পারে। পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন পরিবেশে, জীবাণুমুক্ত উপায়ে সাবধানতার সঙ্গে কান ফোঁড়ানো উচিত। কান ফোঁড়ানোর পর সেরে ওঠার জন্য কমপক্ষে সাত দিন সময় দিতে হবে।
শিশু ভয় পেলে তাকে বোঝান গল্পচ্ছলে
তবে ক্ষতস্থান সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে, ভিজতে দেওয়া যাবে না। জীবাণুনাশক ক্রিমগুলো লাগানো যেতে পারে। কানে বারবার হাত দেওয়া যাবে না। কানের দুল সোনার হলে ভালো। অসাবধানে আঘাত যেন না লাগে, খেয়াল রাখুন। খেলার সময় শিশুকে বারবার মনে করিয়ে দিতে হবে। জল, শাকসবজি, ভিটামিন সি–জাতীয় খাবার, ফলের রসসহ পুষ্টিকর খাবার খেতে দিন এ সময়।bs