তুলসি পাতায় হাজারো গুণাগুণ রয়েছে। প্রাচীন কাল থেকে রোগ নিরাময়ে ব্যবহার হয়ে আসছে তুলসি পাতা। বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয় তুলসি পাতাকে। তবে অবাক করার বিষয় হলো কিডনিতে পাথর হওয়ার মতো ভয়ানক অসুখেরও সমাধান করে এই তুলসি পাতা। কিন্তু সেক্ষেত্রে কিভাবে তুলসি পাতা ব্যবহার করতে হবে তা জেনে নেওয়া যাক।
তুলসির উপকারিতা ও ব্যবহার:
গলা ব্যথা: গলা ব্যথা হলে হালকা গরম জলে তুলসি পাতা সেদ্ধ করে নিন। তারপর সেই জল দিয়ে কুলকুচি করুন বা চায়ের মতো পান করুন। তিন কি চারবার এমনটা করার পর দেখবেন গলা ব্যথা সেরে গেছে।
সর্দি ও কাশি: প্রতিটি মৌসুমেই প্রায় সকলেরই সর্দি-কাশি হয়ে থাকে। এটা আজকাল সবারই হয়ে থাকে। এর জন্য কষ্টও পোহাতে হয়। তবে কষ্ট যতোই হোক না কেন এর সমাধান কিন্তু তুলসি পাতাতেই রয়েছে। তুলসি পাতা ভালো করে ধুয়ে পাঁচ মিনিট চিবিয়ে রস পান করার ফলে সমস্যা থেকে সহজেই সমাধান পাওয়া যায়।
ত্বকের সমস্যা: ত্বকে ব্রণের সমস্যা হওয়া নতুন কিছু নয়। এই সমস্যা সমাধানে সহজলভ্য ও অন্যতম কার্যকরী উপাদান হলো তুলসিপাতা। ব্রণের সমস্যা ছাড়াও অ্যালার্জির সমস্যায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তুলসি পাতার পেস্ট তৈরি করে ত্বকে লাগানোর ফলে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
জ্বর: জ্বর হলে আজকাল ভয়ের শেষ থাকে না। এক্ষেত্রে এক কাপ চায়ের সঙ্গে কয়েকটা তুলসি পাতা ভালো করে ধুয়ে নিয়ে মিশিয়ে পান করুন। এতে জ্বর ছাড়াও ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুসহ অন্যান্য অসুখ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এর সঙ্গে দারচিনি মেশানো হলে কার্যকরী ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পায়।
কিডনির সমস্যা: কিডনির বেশ কিছু সমস্যা সমাধানে তুলসির বিকল্প নেই। প্রতিদিন তুলসির রস এক গ্লাস করে পান করতে পারলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কমে যায়। কারো যদি কিডনিতে পাথরের সৃষ্টি হয় তাহলে টানা ৬ মাস তুলসিপাতার রস পান করতে পারলে মূত্রের সঙ্গে পাথর বের হয়ে যায়। এতে দ্রুত সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।bs