আপনি মাশরুম খেতে ভালোবাসেন? তাহলে জেনেনিন, শরীর সুস্থ রাখতে মাশরুম কতটা উপকারী!

মাশরুম খুবই স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। এতে পেনসিলিন নামক অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান রয়েছে যা মানুষের জন্য অনেক উপকারী এবং এটি খেতেও খুব সুস্বাদু। মাশরুম খাওয়ার উপকার ভোগ করতে হলে অবশ্যই অর্গানিক বা জৈবভাবে উৎপন্ন মাশরুম খেতে হবে। মাশরুমে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, অ্যামাইনো এসিড, অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।

প্রতি ১০০ গ্রাম মাশরুমে রয়েছে শক্তি-১১৩ ক্যাল, কার্বোহাইড্রেট-৪.১ গ্রাম, চর্বি-০.১ গ্রাম, প্রোটিন-২.৫ গ্রাম, ভিটামিন-সি-০ গ্রাম (০%), ক্যালসিয়াম-১৮ মিগ্রা (২%), ফসফরাস-১২০ মিগ্রা (১৭%), পটাসিয়াম-৪৪৮ মিগ্রা (১০%), সোডিয়াম-৬ মিগ্রা (০%) ও দস্তা-১.১ মিগ্রা। এবার তাহলে মাশরুমের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-

মালয়েশিয়ার মালায়া ইউনিভার্সিটির গবেষকদের একটি গবেষণা বলছে, ডায়েটে মাশরুম অন্তর্ভুক্ত করার ফলে মস্তিষ্কের উন্নতি হয়। কেননা, মাশরুমে থাকা উপাদান সেরিব্রাল নার্ভের বৃদ্ধি করে এবং ডিমেনশিয়া ঝুঁকি হ্রাস করে।

ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ এই মাশরুম খাওয়ার ফলে শরীরে রোগ সৃষ্টিকারী কোষগুলি ধ্বংস হয়ে যায় এবং ঠাণ্ডাজনিত রোগ প্রতিরোধ হয়। এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতায় দুর্বল অনুভবের প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে। শরীরকে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস শোষণেও কার্যকরী ভূমিকা রেখে হাড়কে শক্ত ও মজবুত করে তোলে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে।

মাশরুমে রয়েছে ইরিটাডেনিন, লোভাষ্টটিন, এনটাডেনিন, কিটিন এবং ভিটামিন-বি, সি ও ডি। এসব উপাদান কোলেস্টেরল কমানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ কারণে নিয়মিত মাশরুম খেলে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ নিরাময় হয়। এছাড়াও এতে থাকা ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ভিটামিন-ডি শিশুদের দাঁত ও হাড় গঠনে অত্যন্ত কার্যকরী।bs

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy