অস্বস্তিকর এবং অসহনীয় একটি যন্ত্রণার নাম হলো পাইলস বা হেমোরয়েডস। পাইলস হলে মলদ্বারের আশপাশের রক্তনালী ফুলে ব্যথার সৃষ্টি হয়। এটি মলদ্বারের ভেতরে কিংবা বাইরে হতে পারে। পাইলস রোগে ব্যথা, চুলকানি বা রক্তপাতও হয়ে থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যারা শাক-সবজি বা জল কম খান তারা দীর্ঘদিন কোষ্টকাঠিন্যে ভুগতে পারেন। এ থেকে পাইলস হতে পারে। অতিরিক্ত ওজন পাইলস হওয়ার আশংকা বাড়িয়ে দেয়। গর্ভাবস্থার শেষের দিকে অনেকে পাইলসের সম্মুখীন হতে পারেন। বাচ্চার গ্রোথের সঙ্গে সঙ্গে মলদ্বারে চাপ পড়ে পাইলস হয়।
এছাড়া পায়ুপথে যৌনমিলনে অভ্যস্ততা পাইলসের সূত্রপাত ঘটাতে পারে। বয়সের সঙ্গে পায়ুপথের পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। যাদের পরিবারে পাইলস হওয়ার ইতিহাস আছে, তারা বৃদ্ধ বয়সে পাইলসের সম্মুখীন হতে পারেন।
রেকটাল থেকে রক্তক্ষরণ, ফুলে যাওয়া, চুলকানি, সংক্রমণ, যন্ত্রণা প্রভৃতি এ রোগের লক্ষণ।
তবে ঠিক সময়ে যদি পাইলসের চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে এর থেকে আরও নানা শারীরিক সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই সাবধান!
আরে এ নিয়ে এতো ভয়ের কী আছে, বিশেষজ্ঞরা পাইলসের কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা দিয়েছেন যা এক্ষেত্রে দারুন কাজে আসে এবং মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে পাইলসের যন্ত্রণা কমিয়ে দিতে পারে!
নিম্নে ওই ঘরোয়া চিকিৎসার উপকরণ ও প্রস্তুত প্রণালী দেয়া হলো;
উপকরণ: একটা বড় সাইজের কলা ও রাস্পবেরি ২টি।
প্রস্তুত প্রণালী : একটি পাত্রে উপরের উপকরণ দুটি নিন।এরপর একটা চামচ নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে ফেলুন। রাতের খাবার পর কম করে তিন সপ্তাহ এই মিশ্রণটি খাবেন। যদি দেখেন ভালো ফল পাচ্ছেন, তাহলে তিন সপ্তাহের পরেও এই ঘরোয়া ওষুধটি খাওয়া চালিয়ে যাবেন।
কলায় রয়েছে প্রচুর মাত্রায় পটাশিয়াম, যা মলকে নরম করে। ফলে পাইলসের সমস্যা কমে যায়।রাস্পবেরি ফলটি ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ।এটিও প্রায় একই কাজ করে।
এই ঘরোয়া ওযুধটি নিয়মিত খেলে পাইলসের সমস্যা একেবারে কমে যাবে। তবে এর সঙ্গে মনে করে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া এবং শরীরচর্চা করতে ভুলবেন না যেন।bs