নিম শরীরের জন্য খুবই উপকারী, এ কথা সবারই জানা। শুধু শরীর নয় ত্বক ও চুল ভালো রাখতেও নিমপাতা বেশ উপকারী। তবে অনেকেই নিমের কথা শুনলেই নাক সিঁটকান। এর কারণ হলো নিমের তেঁতো স্বাদ। তবে নিমের স্বাদ যতই তেঁতো হোক না কেন, স্বাস্থ্যের জন্য এর উপকারিতা অনেক।
এতে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি গুণ থাকে। কিডনি, লিভারের সমস্যা হোক কিংবা ত্বকের সবে কিছুতেই উপকারী নিম। আয়ুর্বেদেও নানান রোগ সারাতেও নিম পাতার ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।
জানেন কি, নিমপাতা ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। কারণ এই প্রাকৃতিক ভেষজ গ্রহণে মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায় ও কোলেস্টেরল কমে। এর ফলে ওজন ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। কীভাবে তৈরি করবেন নিমের বিশেষ পানীয় জেনে নিন-
এজন্য প্রথমে ২-৩ গ্লাস জল ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এরপর ধুয়ে রাখা কয়েকটি নিম পাতা দিয়ে দিন। জল ফুটতে শুরু করলে আদা ও গোলমরিচ মিশিয়ে দিন। জল অর্ধেক হয়ে গেলে এটি ছেঁকে নিন। তারপর স্বাদ অনুযায়ী মধু ও লেবুর রস মেশান। ব্যাস তৈরি হয়ে গেলো নিমের জাদুকরী পানীয়।
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এই পানীয় পান করতে পারেন। তবে এটি গ্রহণের পর অন্তত এক ঘণ্টা কিছু খাবেন না। আর ভুলেও এটি তৈরি করে পরে খাওয়ার জন্য রাখবেন না। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে এই পানীয় তৈরি করে তবেই পান করুন। টানা ১৫ দিন পান করলেই দেখবেন ওজম কমতে শুরু করবে।
নিমের এই পানীয়ের উপকারিতা জেনে নিন-
>> করোনাকালে সবারই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। এই পানীয় খেলে আপনার ইমিউন সিস্টেমের উন্নতি ঘটবে। এর ফলে শরীর নানা রোগের মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়।
>> নিম পাতায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। প্রতিদিন নিমের এই পানীয় পান করলে হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয়। নিম অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরে রাখতে পারে। ফলে বারবার ক্ষুধার অনুভূতিও কমে আসে।
>> নিম পাতা শরীরকে ডিটক্সিফাই করে। এর ফলে শরীরের অভ্যন্তরে জমে থাকা বিষাক্ত ও রাসায়নিক পদার্থ শরীর থেকে বের করে দেয়।
>> প্রতিদিন এই পানীয় পান করলে শরীরের মেটাবলিজম রেট বেড়ে যায়। অন্যদিকে এতে উপস্থিত অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ক্যালোরি বার্ন করতেও ভূমিকা রাখে।
এই পানীয় পান করার পাশাপাশি সঠিক শরীরচর্চা ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়াও জরুরি। তাহলে ওজন বশে থাকবে। তবে কারও যদি নিমপাতায় অ্যালার্জি থাকে কিংবা শারীরিক কোনো রোগে ভোগেন, তারা চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত এই পানীয় গ্রহণ করবেন না।bs