চিনাবাদাম দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন রোগ থেকে দূরে থাকতেও সাহায্য করে। স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের অন্যতম উৎস এটি। এতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম হলেও প্রোটিন এবং ফ্যাটের পরিমাণ যথেষ্ট। একই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়ামও মেলে চিনাবাদাম থেকে।
এই উপাদানের পরিমাণ সঠিক থাকলে ইনসুলিনের সঠিক কার্যকলাপ বজায় থাকে। এছাড়াও চিনাবাদামে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। আর্জিনিন এবং হেলদি ফ্যাটের সঙ্গে এই ফাইবারের উপস্থিতি কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ রোগীদের ক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরি। ফাইবারযুক্ত খাবার খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে। জেনে নিন চিনাবাদাম খাওয়ার উপকারিতা-
আমেরিকান জার্নাল অব নিউট্রিশন বলছে, রক্তচাপ ও খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল)-এর পরিমাণ কমে মাত্র ৩০ গ্রাম চিনাবাদাম খেলেই। খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে যাওয়ায় হৃদরোগের আশঙ্কা কমে।
আমেরিকার ন্যাশনাল পি-নাট বোর্ডের মতে, চিনাবাদামে প্রচুর পরিমাণ মনো-স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, থাকে ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড। কিন্তু কোনও রকম ট্রান্স ফ্যাট থাকে না। হার্ভার্ড হেলথ লেটার বলছে, ধমনী পরিষ্কারে ভূমিকা রয়েছে মনো-স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিডের। এর উপস্থিতি রক্ত সংবহন নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে হার্ট অ্যাটাক কিংবা স্ট্রোকেরও আশঙ্কা কম থাকে।
চিনাবাদামে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই। এটি ফ্যাটে দ্রবীভূত একটি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। কোষকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস সংক্রান্ত ক্ষতির থেকে রক্ষা করে। তাই ক্যানসারের ঝুঁকিও কমে। বিপাকের হার বাড়িয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে চিনাবাদাম, তবে তা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অন ডায়াবিটিস অ্যান্ড ডাইজেসটিভ অ্যান্ড কিডনি ডিজিজের বেশ কয়েকটি গবেষণায় প্রকাশ, গলব্লাডারে পাথরের সমস্যাও ২৫ শতাংশ কমে রোজ অন্তত একটি কাঁচা চিনাবাদাম ভিজিয়ে খেলে।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, ৬ থেকে ৭ গ্রাম বাদাম সপ্তাহে চার থেকে পাঁচ দিন খাওয়া যেতে পারে। তবে অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
পুষ্টিবিদ ও চিকিৎসকদের মতে, কাঁচা বাদাম বা রোস্ট করে খাওয়া বাদাম থেকে সম্পূর্ণ পুষ্টিগুণ পাওয়া যায় না। এছাড়া বাজারের প্যাকেটজাত বাদামেও থাকে অতিরিক্ত লবণ যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। বাদাম অন্তত ৮-১০ ঘণ্টা ভিজিয়ে তারপর খেলে সম্পূর্ণ পুষ্টিগুণ লাভ করে শরীরbs