নিজেকে সুস্থ রাখার সাথে নিজের ত্বক ও চুলের দিকেও মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। সঠিক নিয়ম না মানলে যেমন অসুস্থতা দেখা দেয়, তেমনিভাবে নিজের যত্নে গাফেলতি থাকলে চুল ও ত্বকের নানাবিধ সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ত্বকের যত্নের জন্য খুব বেশি কিছুর প্রয়োজন হয় না। সামান্য কয়েকটি উপাদানেই প্রয়োজনীয় পরিচর্যা হয়ে যায়। এ সময়ে নিজের ত্বকের সার্বিক যত্নে শুধুমাত্র দুইটি উপাদানই যথেষ্ট- মধু ও দুধ। সহজলভ্য এই দুইটি উপাদান কেন ত্বকের যত্নে উপকারি? জেনে নিন এই ফিচার থেকে।
ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখবে
দুধে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড হল অন্যতম প্রাকৃতিক AHA (Alpha-hydroxy acids), যা প্রাকৃতিকভাবে ত্বককে আর্দ্র রাখতে কাজ করে। এমনটি এই উপাদানটি আমাদের ত্বকের ন্যাচারাল ময়েশ্চারাইজিং কমপ্লেক্স। এর সাথে মধুর মিশ্রণ দুধের ময়েশ্চারাইজিং ধর্মকে আরও ত্বরান্বিত করে।
ত্বককে রাখবে মোলায়েম
বেশ কিছু পরীক্ষার ফল থেকে দেখা গেছে, ল্যাকটিক অ্যাসিড ১২ শতাংশ পর্যন্ত ত্বককে কোমল করে ত্বকের বলীরেখা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনাকে কমিয়ে আনে। এছাড়া মধুর এক্সফলিয়েটিং ধর্ম ত্বকের উপরিভাবে জমে থাকা মরা চামড়া ও ধুলাবালিকে গভীর থেকে দূর করতে কাজ করে।
ত্বকের pH এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
ত্বকের আর্দ্রতার মতই pH এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব জরুরি। pH এর মাত্রার ভারসাম্য হারালে ত্বকে ব্রণ ও র্যাশের সমস্যা ঘনঘন দেখা দিতে শুরু করে। ত্বকের এই প্রাকৃতিক ধর্মকে সাম্যাবস্থায় রাখতে উপকারি ভূমিকা পালন করে মধু।
ত্বকের ক্ষতস্থান সারিয়ে তোলে
মধু হল সবচেয়ে কার্যকর প্রাকৃতিক অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান। যা ত্বকের বেশিরভাগ ক্ষতকে প্রাকৃতিকভাবে সারিয়ে তোলার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। এছাড়া ত্বকের মরা চামড়াজনিত সমস্যা, ত্বকের কালচেভাব ও মাথার খুশকি থেকে ত্বকের সমস্যাকে দূর করতে মধুর ব্যবহার হয় সবচেয়ে বেশিbs