আপনার চোখের পাপড়ি ঘন, কালো করার প্রাকৃতিক উপায় গুলি জেনেনিন

লম্বা ঘন পাপড়ি চোখের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয়। আজকাল এই চোখের পাপড়ি ঘন করে তোলার জন্য আইল্যাশের ব্যবহার অনেক বেড়েছে। আপনি প্রাকৃতিক উপায়েও আপনার কাজল কালো চোখের পাপড়ি ঘন আর লম্বা করে তুলতে পারেন। কারণ সবাই আইল্যাশ ব্যবহার করতে পারে না।

অনেকের আইল্যাশ লাগালে অ্যালার্জি হয় আবার অনেকে এটি ব্যবহার করলে অস্বস্তি বোধ করেন। তাই প্রাকৃতিক উপায়ে আপনি যদি আপনার চোখের পাপড়ি বড় কালো ও ঘন করে তুলতে পারেন সেটা হবে দীর্ঘস্থায়ী আর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত।

চোখের পাপড়ি ঘন, কালো আর দীর্ঘ করে তোলার কয়েকটি সহজ ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে। চলুন সেগুলো জেনে নেয়া যাক-

গ্রিন টি

প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ গ্রিন টি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারিতার পাশাপাশি চোখের পাপড়ির জন্যেও উপকারী প্রভাব বিস্তার করবে। গ্রিন টি ব্যবহারের জন্য ব্যবহৃত ও আর্দ্র গ্রিন টিয়ের ব্যাগ চোখের উপর ১৫-২০ মিনিট রেখে দিতে হবে।

অলিভ অয়েল

ময়েশ্চারাইজিং অলিভ অয়েল চোখের পাপড়ির ঘনত্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি দৈর্ঘ্য বাড়াতেও অবদান রাখে। মূলত এই তেলে থাকা এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিড সমূহ ইমোলিয়েন্ট হিসেবে কাজ করে। সেই সঙ্গে অলিভ অয়েলের প্রধান ধর্ম- ময়েশ্চারাইজিং চোখের পাপড়িকে মজবুতও করে।

নারকেল তেল

মুখের ত্বক ও চোখের আশেপাশের ত্বকের জন্য জন্য উপকারী তো বটেই, খাঁটি নারকেল তেল চোখের পাপড়ির জন্যেও দারুণ উপকারী একটি প্রাকৃতিক উপাদান। এমনকি বেশ কিছু পরীক্ষা থেকে দেখা যায়, নারকেল তেলের প্রোটিন চোখের পাপড়ি ঝরে যাওয়া প্রতিরোধ করতে কার্যকর।

ক্যাস্টর অয়েল

চুলের যত্নে এবং চুলের বৃদ্ধিতে ক্যাস্টর অয়েল দারুণ প্রচলিত একটি প্রাকৃতিক তেল। মজার ব্যাপার হলো, চুলের সঙ্গে চোখের পাপড়ির যত্নে ও বৃদ্ধিতেও ব্যবহার করা যাবে এই তেলটি। সহজলভ্য বেশ কিছু আইল্যাশ সিরামের প্রধান উপাদান হিসেবেও ব্যবহার করা হয় ক্যাস্টর অয়েল।

ব্যাবহারবিধি

চোখের পাপড়ি ঘন করার জন্য আপনি যেকোনো একটি বেছে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রথমেই প্রয়োজন হবে মাশকারার অব্যবহৃত ও পরিষ্কার আই ব্রাশ। নিয়মিত আই ব্রাশ দিয়ে চোখের পাপড়িতে আলতো আলতো ভাবে তেল মাখিয়ে নেবেন। একমাস ব্যবহারে ভালো সুফল পাওয়া যাবে।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy